অ্যান্টিবডি কি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারবে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

  •  দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
  • তাতে প্রশ্ন উঠেছে অ্যান্টিবডির ভূমিকা নিয়ে 
  • বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে 

Asianet News Bangla | Published : Sep 7, 2020 1:16 PM IST

দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। রবিবার ও সোমবার পরপর দুদিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯০ হাজারেরও বেশি। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লক্ষের বেশি। করোনা বিশ্বের ক্রম তালিকায় ভারতের স্থান এখনও ব্রাজিলেরও ওপরে। ব্রাজিলকে পিছলে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রীতিমত উদ্বেগের কথাই শোনালেন একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাঁদের মতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টিবডির খুব একটা উপযোগী নাও হতে পারে। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা দেখেছেন কোন ধরেন অ্যান্টিবডি কতদিন আর কতগুলি স্থায়ী হতে পারে তার কোনও নিশ্চয়তা এখনও পর্যন্ত তাঁদের হাতে নেই। 

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিবডি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কারণ রোগের অগ্রগতিতে অ্যান্টিবডির ভূমিকা কতটা তা নিয়েই তাঁরা পর্যালোচনা করছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনও পর্যন্ত কোনও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। 

ইমিউনোলজিস্ট সত্যজিৎ রথ এখনও অপেক্ষা করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন।  নয়া দিল্লির ন্যাশানাল ইন্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির বিজ্ঞানী বলেছেন অ্যান্টিবডি উপস্থিত থাকলে সেই ব্যক্তি আক্রান্ত কিনা সে বিষেয় কিছুই জানান না। একই সঙ্গে পুঞ্জের বিশেষজ্ঞ ভীনিতা বল জানিয়েছেন, নিউট্রালিইজ ও সিম্পল এই দুধরনের অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। সিম্পল অ্যান্টিবডি ভাইরাসের উপস্থিতিতে হোস্টের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সংক্রণের বিস্তার রোধে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে না।তবে   নিউট্রালাইজিং অ্য়ান্টিবডির অভাব সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। সাধারণ মানুষে সেইসব খুঁটিয়ে দেখেননা।  

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যেই নিউ নর্মাল জীবন, দেখেনিন কী করে লাড়াই চালবে মহামারির বিরুদ্ধে

সমালোচনার জবাব দিতে মরিয়া চিন, বেজিং-এর বাণিজ্যমেলায় জনসমক্ষে আনল দেশীয় করোনা প্রতিষেধক

 ভারতে সংক্রমিত প্রকৃত সংখ্যার  নির্ধারণের জন্য একাধিক সার্ভে করা হয়েছে। আর সেই তথ্যে দেখা হচ্ছে সংক্রমিত ব্যক্তি যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁদের একদল অ্যান্টিবডির উপস্থিতি জানতে সিরাম পরীক্ষা করাচ্ছেন। মূলত মেট্রো এলাকায় এই সার্ভে করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী এক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন সেরোলজিক্যাল প্রমাণগুলিতে কিছুটা হলেও ফাঁক রয়েছে। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তি একই পরীক্ষা করাচ্ছে না। এক বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন  সমীক্ষায় দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষই পজেটিভ আর নেগেটিভ রিপোর্টটাই খুঁতিয়ে দেখেন। রক্তে অ্যান্টিবডির স্তরগুলি খুঁটিয়ে দেখেন না। 

"

Share this article
click me!