
বৃদ্ধা মাকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে কুম্ভে গিয়েছে ছেলে বৌমা। খিদের জ্বালায় ভেতর থেকে চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তালা ভেঙে বৃদ্ধাকে বাইরে বের করে আনতেই দুঃখে কাতর হলেন সকলে। বৃদ্ধার শরীর অবসন্ন হয়ে পড়েছে। জানা যায়, খিদের জ্বালায় প্লাষ্টিক খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই বৃদ্ধা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে । ডেকে আনা হয় ছেলেকেও। গোটা ঘটনায় ছেলের মানসিকতা দেখে স্তম্ভিত প্রতিবেশী থেকে নেটিজেনরা সকলেই।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রামগড় জেলার। কিছু দিন আগে প্রয়াগরাজে গিয়েছেন ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধা সঞ্জু দেবীর ছেলে অখিলেশ প্রজাপতি। মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দিতে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন নিজের স্ত্রী এবং পুত্রকে। অভিযোগ, কুম্ভে যাওয়ার সময় বাড়িতে নিজের মাকে একা রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান অখিলেশ।
বৃদ্ধা মা দিনের পর দিন বাড়িতে রইলেন। তালাবন্ধ ঘরে পড়ে রইলেন একাকী। একসময় ফুরিয়ে যায় খাবার। শেষে খিদের জ্বালায় বাঁচার চেষ্টায় ঘরের জানলা দিয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন। বৃদ্ধার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের সকলে। বৃদ্ধাকে বন্দি দশা থেকে উদ্ধার করতে খবর দেওয়া হয় তাঁর মেয়েকে। প্রতিবেশীরা তালা ভেঙে বৃদ্ধাকে বের করে আনতেই দেখা যায় কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি। জানা যায়, তিনি প্লাস্টিক খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কন্যা এসে মাকে নিয়ে যান। পুলিশও ডাকেন। পুলিশ এসে যোগাযোগ করে বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে। এই ঘটনার কারণ হিসেব বৃদ্ধার ছেলে জানায়, মায়ের অনুমতি নিয়েই কুম্ভে গিয়েছেন । এমনকি ঘরে মায়ের জন্য পর্যাপ্ত খাবার রেখে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবে বৃদ্ধার কন্যা চাঁদনী দেবী তার দাদার যুক্তিতে সম্তুষ্ট না হয়ে মাকে নিজের কাছে নিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করবে বলে জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।