বিহারের রাজধানী পাটনার অন্যতম সেরা স্কুলগুলির মধ্যে একটি ধরা হয় কেভি সহায় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। আর সেই স্কুলেই স্মার্ট ক্লাসের নামে ক্লাসের মধ্যে চলছে পর্নোগ্রাফি দেখা। সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষা বিভাগের আচমকা পরিদর্শনের এই বিস্ময়কর তথ্যই উঠে এসেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই আদৌ স্মার্ট ক্লাস চালানো উচিত কিনা সেই প্রশ্ন পর্যন্ত উঠে গিয়েছে।
বিহারের মুখ্য়মন্ত্রীর পদে বসার পরই নীতিশ কুমার শিশুদের স্মার্ট করতে বিহারের স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাস চালু করেছিল। সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে প্রতিদিনই শিক্ষা দপ্তর থেকে স্কুলগুলিতে স্মার্টক্লাস কেমন চলছে তা দেখার জন্য আচমকা পরিদর্শন চলছে। লক্ষ্য ছিল, এই ক্লাসগুলিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন থাকছে, শিক্ষকরা কীভাবে পাঠদান করছেন, সেইসব খতিয়ে দেখা। কিন্তু সেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এসেছে পর্নোগ্রাফির কেউটে।
জেলা পুলিশ আধিকারিক নীরজ কুমার জানিয়েছেন, কেভি সহায় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি পরিদর্শন করতে গিয়ে শিক্ষা দপ্তরের পরিদর্শকরা দেখেন স্মার্ট ক্লাসের সিলেবাস থাকার কথা যে পেনড্রাইভে, সেখানে একটি ফোল্ডারে প্রচুর পর্নগ্রাফিক ভিডিও মজুত করা রয়েছে। এই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তারপরই শিক্ষাকর্তারা বিষয়টি পুলিশের কাছে অভিযোগ আকারে জানান।
এই ঘটনা জানাজানি হতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যেও তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা স্কুলে এসে বিক্ষোভও দেখান। ডিপিও নীরজ কুমার জানিয়েছেন এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনও শিক্ষক জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাত্র দিন চার-পাঁচ আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ভারতে সব ধরণের পর্নগ্রাফিক ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই ধরণের ভিডিওগুলির জন্যই ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। এবার তাঁর রাজ্যেরই অন্যতম নামী স্কুলে শিশুদের স্মার্ট করার নামে পর্নোগ্রাফি দেখানোর অভিযোগ ওঠায় বেজায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। এখনও এই বিষয়ে নীতিশ কোনও মন্তব্য করেননি।