
India-Pakistan Military Understanding: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতির (India-Pakistan de-escalation) কথা ঘোষণা করা হলেও, তা হয়েছে ভারতেরই শর্তে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর (Operation Sindoor) পরেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) এবং এয়ার আইএসআই প্রধান আসিম মালিক (Asim Malik) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন। তবে ডোভাল ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে (External Affairs Minister S Jaishankar) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতি হলে সেটা হবে একমাত্র ভারতের শর্তে। অন্য কোনও শর্ত মানা হবে না। এরপর গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ডোভাল ও জয়শঙ্কর। শেষপর্যন্ত সংঘর্ষ-বিরতির কথা ঘোষণা করা হল।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সবসময় অবহিত করে গিয়েছেন ডোভাল ও জয়শঙ্কর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারত-পাকিস্তানের এই আলোচনার বিষয়ে অবহিত থাকলেও, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (Director General of Military Operations) শনিবার বিকেল তিনটে বেজে ৩৫ মিনিটে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই আলোচনায় ঠিক হয়, দুই দেশই এদিন বিকেল পাঁচটা থেকে ভূমি, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গুলিবর্ষণ ও সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ রাখবে। ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri) সংঘর্ষ-বিরতির কথা ঘোষণা করেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
স্থায়ী হবে সংঘর্ষ-বিরতি?
শনিবার বিকেলে ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ-বিরতির কথা ঘোষণা করা হলেও, রাত গড়াতেই ফের গোলাগুলি চালানো শুরু করেছে পাকিস্তান। ফলে ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার পর জম্মু-সহ সীমান্তবর্তী একাধিক শহরে ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়েছে। ফের সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।