পরপর ৪দিন দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল, করোনায় মোট আক্রান্ত ৩৪ লক্ষের গণ্ডি পেরোল

Published : Aug 29, 2020, 10:25 AM ISTUpdated : Aug 29, 2020, 11:05 AM IST
পরপর ৪দিন দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াল, করোনায় মোট আক্রান্ত ৩৪ লক্ষের গণ্ডি পেরোল

সংক্ষিপ্ত

দেশে দৈনিক সংক্রমণ ফের ৭৫ হাজারের উপরে টানা ৪ দিনে দৈনিক মৃতের সংখ্যা হাজারের উপরে কোভিড ১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে তবে মোট সংক্রমণের মাত্র ২১.৯০ শতাংশ বর্তমানে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত 

বেড়েই চলেছে দেশে করোনা সংক্রমণ। সপ্তাহ খানেক আগেই যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের ঘরে থাকছিল তা গত সপ্তাহেই ৬০ হাজারের গণ্ডি পেরোয়। আর চলতি সপ্তাহে গত কয়েকদিন হল দৈনিক সংক্রমণ রয়েছে ৭০ হাজারের উপরে। শুক্রবার রেকর্ড গড়ে দৈনিক সংক্রমণ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছিল। শনবিরাও সংক্রমণ সেই রেকর্ড না ভাঙলেও তার আশেপাশেই থাকল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬,৪৭২ জন। ফলে দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭৩।

 

 

গত ৩ দিন হল দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা হাজারের উপরে থাকছে। সেই রেকর্ড বজায় থাকল শনিবারও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা প্রাণ কেড়েছে ১,০২১ জনের। ফলে দেশে কোভিড ১৯ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২,৫৫০। 

আরও পড়ুন: করোনাকে কাবু করতে দরকার ভ্যাকসিন না হার্ড ইমিউনিটি, জবাব দিল 'হু'

এসবের মধ্যে আশার খবর দেশের সুস্থতার হার। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা মুক্ত হয়েছেন ২৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৯৯ জন। ফলে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৪২৪।  দেশে সুস্থতার হার ৭৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মৃতের হার হয়েছে ২ শতাংশের নিচেই রয়েছে। 

শুক্রবার কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশের আধা-শহরাঞ্চলগুলি থেকেই কোভিড কেসের সংখ্যা বেশি আসছে। তবে, সংক্রমণের গতি অস্বাভাবিক হলেও কোভিডে মৃত্যুহার এখনও কম রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।  মোট সংক্রমণের মাত্র ২১.৯০ শতাংশ বর্তমানে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়।

আরও পড়ুন: সোপিয়ানের পর এবার পুলওয়ামা,বাহিনীর এনকাউন্টানের নিকেশ ৩ জঙ্গি, গুলির লড়াইয়ে শহিদ জওয়ানও

মহারাষ্ট্র করোনা সংক্রমণে এখনও দেশের মধ্যে একনম্বরে রয়েছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মারাঠা রাজ্যে  দৈনিক যত কোভিড কেস ধরা পড়ত, তার সিংহভাগই ছিল বাণিজ্যনগরীতে। মুম্বইয়ে মোটের উপর পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এলেও পিম্পরি চিঞ্চবাড়, সাঙ্গলি, সোলাপুরের মতো এলাকাগুলিতে সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। একই ভাবে তামিলনাড়ুর বিরুধুনগর, কর্নাটকের বেলারিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে বিগত দু-সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণে যত জন মারা গিয়েছেন, তার ৮৯ শতাংশই ঘটেছে দেশের ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।

ভারতে গত কয়েক মাসে ৮৭ হাজারের উপর স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সিংহভাগ আবার মাত্র ছয় রাজ্যে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাতে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এ পর্যন্ত যত স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই উল্লিখিত এই ছয় রাজ্যের। শতাংশের হিসেবে ৭৪ শতাংশ। আবার স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুর নিরিখে ধরলেও, মোট মৃত্যুর ৮৬ শতাংশ ঘটেছে এই ছয় রাজ্যে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড-যোদ্ধা ৫৭৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উপসর্গহীন রোগীদের থেকেই সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায় স্বাস্থ্যকর্মীদের। পিপিই কিট ঠিকমতো ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও তাঁদের অভিমত। যার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights: যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিল ইন্ডিগো! কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের