গবেষণা বলছে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারত আত্মপ্রকাশ করবে। চিন ও আমেরিকার পরেই স্থান হবে ভারতের বলে জানাচ্ছে ওই রিপোর্ট।
ভারতে বাড়ছে মধ্যবিত্তের সংখ্যা। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা। এই দুই ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র এক সম্ভাবনা তৈরি করছে। যা ভারতের অর্থনীতিকে নতুন দিশা দেখাবে। এমনই মনে করছে ব্রিটেনের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের পত্রিকা গ্লোবাল ট্রেড আউটলুক। গবেষণা বলছে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ (world’s third largest importer by 2050) হিসেবে ভারত আত্মপ্রকাশ করবে।
চিন ও আমেরিকার (China and the US) পরেই স্থান হবে ভারতের বলে জানাচ্ছে ওই রিপোর্ট। বিশ্বের মোট আমদানির ৫.৯ শতাংশ (5.9% of global imports) নিয়ে ভারত এই স্থান পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ২.৮ শতাংশ আমদানি শেয়ার সহ ভারত সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশগুলির মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম আমদানিকারক হতে চলেছে ভারত।
গ্লোবাল ট্রেড আউটলুক জানাচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ আমদানি অংশ ২০৩০ সালের মধ্যে হ্রাস পাবে। কারণ বিশ্ব জুড়ে আমদানির চাহিদা এশিয়া জুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এশিয়ার মধ্যবিত্তদের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে, ফলে খাদ্য, ভ্রমণ এবং ডিজিটাল পরিষেবা খাতে চাহিদা বৃদ্ধি ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্দো প্যাসিফিকের দ্রুত বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক কেন্দ্র কয়েক দশক ধরে পূর্বপ্রান্তকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। ফলে বাণিজ্যের ধরন বদলে যাচ্ছে। ইইউ এবং উত্তর আমেরিকায় ২০১৯ সাল থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫৬ শতাংশ চাহিদা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৃদ্ধিও হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় যে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, তার মূলে থাকবে ভারতের বাজার।