Disaster Relief: কিস্তওয়ারে দুর্যোগ মোকাবিলায় বায়ু সেনা, তৈরি রয়েছে দুটি MI-17

Saborni Mitra   | ANI
Published : Aug 15, 2025, 03:13 PM IST

কিস্তওয়ারে মেঘভাঙার পর ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং একটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার  জম্মু ও উধমপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল হলেই শুরু হবে উদ্ধার । 

PREV
15
উদ্ধারে বায়ু সেনা

সূত্র জানিয়েছে, কিস্তওয়ারে সাম্প্রতিক মেঘভাঙার বৃষ্টির প্রাকৃতিক দুর্যোগে কবলিত ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত ভারতীয় বিমানবাহিনী। বর্তমানে, দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং একটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) জম্মু ও উধমপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল হলেই অভিযান শুরু হবে।

25
কিস্তওয়ারে বন্যা পরিস্থিতি

১৪ আগস্ট মেঘভাঙা বৃষ্টির পর কিস্তওয়ারে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়, যার ফলে ৪৫ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষদের কাছে প্রাকৃতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আশ্রয় এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ শুক্রবার কিস্তওয়ারে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিরীক্ষণ করবেন এবং চলমান উদ্ধার অভিযান তদারকি করবেন।

35
মোদী কথা বলেছেন ওমরের সঙ্গে

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স-এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তার সফরের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি কিস্তওয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এবং শনিবার মেঘভাঙা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন। আবদুল্লাহ তার এক্স পোস্টে লিখেছেন, "আমি আজ বিকেলে কিস্তওয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হব এবং আগামীকাল সকালে মেঘভাঙার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। আমি উদ্ধার অভিযান পর্যালোচনা করব এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করব।" অন্যদিকে ওমরের সঙ্গে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিধ্বস্ত এলাকার খোঁজ খবর নিয়েছেন।

45
দুর্যোগের অভিজ্ঞতা

মেঘভাঙার সময় আহত পুতুল বলেছেন, "...পুরো পাহাড় ধসে পড়েছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি... সর্বত্র হাহাকার। আমি পাথরের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে আমি মাটিচাপা পড়িনি... আমার পরিবারের অনেক সদস্যকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমি এখনও তাদের খুঁজছি। আমি কিছুই জানি না..."

55
দুর্যোগের অভিজ্ঞতা

জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাকেশ শর্মা নামের একজন ভুক্তভোগীও তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে বলেছেন, "আমরা লঙ্গরে প্রসাদ খেয়েছিলাম। আমরা রাস্তা পার হতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ একটা শব্দ হল... আমরা ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখলাম। সবাই 'ভাগো ভাগো' বলে চিৎকার করতে শুরু করলে আমরা দৌড়ানোর চেষ্টা করলাম... আমি আমার বাচ্চাকে বাঁচানোর চেষ্টা করার সময় ধ্বংসাবশেষ আমাকে চেপে ধরে, আমি পড়ে যাই এবং মাটিচাপা পড়ে যাই... কাঠের একটি বড় টুকরো আমাদের উপর পড়েছিল বলে আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম... অন্তত ৬০-৭০ জন এখনও মাটিচাপা পড়ে থাকতে পারে... কিস্তওয়ারের মানুষ খুবই দয়ালু; তারা আমাকে কাপড় এবং খাবার দিয়ে সাহায্য করেছে..."

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories