করোনা লড়াই আরও সহজ করল ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন দম্পতি, সস্তায় ভেন্টিলেটর তৈরি করে

Published : May 26, 2020, 01:54 PM IST
করোনা লড়াই আরও সহজ করল ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন দম্পতি, সস্তায় ভেন্টিলেটর তৈরি করে

সংক্ষিপ্ত

সস্তায় ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন দম্পতি আইসিইউতে ব্যবহারের উপযোগী নয় এই ভেন্টিলেটর তবে আপতকালীন পরিষেবায় খুবই জরুরী গণ ব্যবহারের ভেন্টিলেটর তৈরির কথাবার্তা চলছে  

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা সামগ্রী হয় ভেন্টিলেটর। কারণ এই ভেন্টিলেটরের মাধ্যমেই কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাসপ্রশ্বাস  চালাতে সক্ষম হন আক্রান্তরা। ফুসফুসে অক্সিজেন পাঠাতে এই ভেন্টিলটর অন্যতম উপাদান। কিন্তু হাসপাতালেই পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর মজুত থাকে না। এটি অত্যান্ত দামী। সেই দিক থেকে সস্তায় ও বহনযোগ্য ভেন্টিলেটর তৈরি করে নজির গড়লেন আমেরিয়াক বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি। 

দেবেশ রঞ্জন ও তাংর স্ত্রী কুমুদা রঞ্জন দুজনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে সস্তার ভেন্টিলেটর। তাঁদের কথায় ১০০ মার্কিন ডলারেই তৈরি করা যাবে একটি ভেন্টিলেটর। ৫০০ মার্কিন ডলারেও যদি একএকটি বিক্রি করা যায় তাহলেও উৎপাদনকারী সংস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে লাভ রাখতে পারবে। তিনি আরও দাবি করেছেন তাঁরা যে ধরনের ভেন্টিলেটর তৈরি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেই ধরনের  ভেন্টিলেটরের দাম ১০ হাজার ইউএস ডলার।  

জর্জিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে এই ভেন্টিলেটর। ক্লিনিক্যাল প্যারামিটারগুলি পরিচালনা করে বৈদ্যুতিন সংবেদক ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে ফুসফুসে অক্সিজেন পাঠাতে সক্ষম হয়। ভারতের মত উন্ননশীল দেশের কথা মাথায় রেখেই সস্তার ভেন্টিলেটর তৈরিতে আগ্রহী হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি রাজন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জর্জিয়ার প্রাক্তনীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে যাতে তাঁরা দেশে এই জাতীয় ভেন্টিলেটর তৈরি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন এই জাতীয় ভেন্টিলের আইসিইউতে ব্যবহারের উপযোগী নয়। এগুলি পরিশীলিত ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে। জরুরী অবস্থায় এই ভেন্টিলেটর খুবই কার্যকরী বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

দেবেশ রঞ্জন রাঁচির বাসিন্দা ছিলেন। রিজিওনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছিলেন তিনি। তারপর ত্রিচি ও উইসকনসিন মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেন। বর্তমানে জর্জিয়া টেক-এ শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্ত্রী কুমুদা মাত্র ৬ বছর বয়সেই বাবা মায়ের সঙ্গে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন আমেরিকা। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। নিউজার্সি থেকেই তিনি মেডিক্যালের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। বর্তমানে আটলান্টায় ডাক্তার তিনি। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

Indian Railways: এবার তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের নিয়মে বড়সড় রদবদল, জানিয়ে দিল রেল
রজস্বলা নাবালিকাকে একটা স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে ব্যর্থ ইন্ডিগো, বাবার কাতর আর্জির ভিডিয়ো ভাইরাল