Bhairav Commando Battalion: দেশ সবার আগে। তাই এবার ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষায় নামানো হল সেনাবাহিনীর বিশেষ উইং ‘ভৈরব কম্যান্ডো' বাহিনীকে (bhairav commando unit)। আর সেই স্পেশ্যাল ফোর্সকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (bhairav commando unit)।
কারণ, যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে টক্কর দিতে হবে। তাই নতুন এবং পাঁচটি বিশেষ ধরণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারদর্শী করে তোলা হচ্ছে ভৈরব ব্যাটেলিয়নকে। একটি সর্বভারতীয় প্রতিবেদন মারফত জানা যাচ্ছে, আপাতত পাঁচটি ভৈরব কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে তিনটিকে চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করার জন্য উত্তরাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধীনে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বাকি দুই ভৈরব কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়নের একটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং আরেকটি ব্যাটেলিয়নকে পাকিস্তান সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধীনে মোতায়েন করা হবে। প্রসঙ্গত, লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাক সেনা যদি একসঙ্গে হামলা চালায়, তাহলে কীভাবে ভারতীয় সেনা তার মোকাবিলা করবে? সেইজন্যই উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে সেনাবাহিনীর পরিকাঠামোতে আমূল বদল এনে এবং উপযুক্ত পরিকল্পনার মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছে এই ‘ভৈরব কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন'।
উল্লেখ্য, ২৬ জুলাই কার্গিল যুদ্ধের বিজয় দিবসে সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তায় এবার বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। গত ২০২৩ সাল থেকে আগামী ২০৩২ সাল পর্যন্ত, সেনাবাহিনীর রূপান্তরের দশক হবে বলেও জানিয়েছেন এই সেনা কর্তা। পরিকল্পনামাফিক পদাতিক, গোলন্দাজ এবং ট্যাঙ্ক রেজিমেন্টকে একসঙ্গে করে রুদ্র বিগ্রেড এবং ভৈরব কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।
তাঁর কথায়, "এই পরিবর্তনগুলির প্রধান লক্ষ্য হল ড্রোন, গোলাবারুদ, দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতার মতো আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাতের ক্ষমতাকে আরও বৃদ্ধি করা।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।