ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক এই মুহূর্তে সাপ নেউলের বললেও কম বলা হবে। পুলওয়ামা হামলা এবং তার প্রত্যাঘাতে বালাকোট স্ট্রাইকের পরে কয়েক যোজন দূরত্ব তৈরি হয়েছে এই দুই দেশের মধ্যে। সপ্তদশ মন্ত্রীসভা গঠনের সময়ে সমস্ত প্রতিবেশি দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সৌজন্যের খাতিরেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পাকিস্তানকে। অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনের অভ্যাগতদের পাকিস্তানে ইফতার পার্টিতে হেনস্থাও করা হয়। এই অসূয়া অনৈক্যের আবহেই ইদ বয়ে আনল দখিনা বাতাস। বালাকোটের পরে এই প্রথম পাক আকাশ দিয়ে ভারতে এল বিমান। সফল অবতরণের পর পাক সিভিল অ্যাভিয়েশন অথারিটির ডিরেক্টার ভারতে ইন্ডিগোর ডিউটি অফিসারকে ধন্যবাদ জানালেন।
১৪৬০০ কেজি বোঝাই ১৮০ জন যাত্রীসমেত ইন্ডিগো এয়ারবাস এ৩২০ দুবাইয়ের আকাশ ছাড়ে স্থানীয় সময় রাত ৯.৩০ মিনিটে। এই বিমান পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশ করে রাত ১০.৪০ নাগাদ। দিল্লিতে এই বিমানটি নামে রাত ১২.১০ মিনিটে। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ জানাচ্চে, প্রতিদিন ৯টি উড়ান আসা যাওয়া করে এই পথে। এই পথটি খুলে যাওয়ার ফলে প্রতিটি উড়ানে ২২ মিনিট সময় বাঁচবে, ১১০০-১২০০ কেজি জ্বালানি বাঁচবে।
প্রসঙ্গত, বালাকোট হামলার পরেই আকাশ পথে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে থাকা ১১ টি গেটওয়ে বন্ধ করে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বেশ কিছুটা সমস্যাতেই পড়েছিল এর ফলে।
এদিনের অবতরণ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ভারতীয় যাত্রীদের আত্মীয় পরিজন-সহ বিমানসংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মীরাও। উৎকন্ঠার প্রহর যেন কাটছিল না কিছুতেই। উড়ান সফল হতেই ইন্ডিগোর তরফে ফোন গেল পাকিস্তানের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথারিটির ডিরেক্টরের কাছে। এ প্রান্ত থেকে প্রশ্ন রাখা হল,' জনাব এখনও জেগে রয়েছেন?' উত্তর এল-'আপনাদের কথা দেওয়া ছিল, তাই অবতরণের দিকে নজর রাখছিলাম। ইদ মুবারক।'
উৎসবের দিনে সম্প্রীতির এই ছবিটাই থাক দুই দেশের মধ্যে, এমনটা চাওয়ার লোক আজও দুই দেশে নেহাত কম নয়।
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক এই মুহূর্তে সাপ নেউলের বললেও কম বলা হবে। এই অসূয়া অনৈক্যের আবহেই ইদ বয়ে আনল দখিনা বাতাস। পাক আকাশ দিয়ে নিরাপদে এল ভারতীয় বিমান।