ডেনমার্ক থেকে সুদূর জার্মানি। গল্পের জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। এখন কেমন চলছে এই প্রেমপর্ব?
দুই দেশের সীমানায় যতই কড়াকড়ি থাকুক, মনের সীমানা পার হতে লাগে না কোনও পাসপোর্ট-ভিসা। সেই অঘটনই ঘটে গেল প্রেমের শহর প্যারিসে। চিনা তরুণীর প্রেমে পড়লেন ভারতীয় যুবক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তে কখন যে একে অপরের প্রেমে পড়ে গেলেন, তা টের পেলেন না কেউই। আলাপ গভীর হতেই হয়ে গেল অফিশিয়াল ডেট। কী হল তার পর?
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হরিয়ানার অভি দু’বছর চাকরি করেন নয়ডায়। তারপর প্যারিসের ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান এমবিএ কোর্স করতে। অন্যদিকে, বেজিং থেকে স্যান্ডিও যান প্যারিসে। ওই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা করতে। সেখানেই ২০১১ সালের অগাস্ট মাসে দুজনের আলাপ। সেখান থেকে হয়ে গেল বন্ধুত্ব এবং প্রেম। প্রথম আলাপেই অভির কাছে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছিলেন স্যান্ডি। উলটোদিকে আবার স্যান্ডিকে দেখে তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে যান অভি।
বন্ধুত্ব বাড়তে বাড়তেই দুজনে অফিশিয়াল ডেটে যান সেখানকার একটি ভারতীয় রেস্তরাঁয়। তার পর বাড়তে থাকে প্রেম। শেষমেশ স্যান্ডিকে বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েই ফেলেন অভি। কিন্তু, তারপর ঘটে বিরহ।
অভি চাকরি নিয়ে চলে যান জার্মানিতে। সেসময় টানা প্রায় ৫ বছর ধরে লং ডিস্ট্যান্সে চলেছিল ভালোবাসা। ২০১৮ সালে সারপ্রাইজ এনগেজমেন্ট পার্টিতে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়। তার পরের বছর, ২০১৯ সালে আত্মীয় পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে তাঁরা দুজন বিয়ে করেন। চিনা সুন্দরী এখন ভারতীয় পরিবারের আদরের বউমা। তাঁর দেশের সংস্কৃতিকেও আপন করে নিয়েছেন অভি। একই পরিবারে একই সঙ্গে পালিত হচ্ছে দুই দেশের পৃথক সংস্কৃতির অনুষ্ঠান।
রঙিন প্রেমপর্ব কাটিয়ে এখন দুজনে সুখী দম্পতি। তাঁদের প্রেম এবং দাম্পত্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপারহিট। নেটিজেনদের কাছে খুবই জনপ্রিয় তাঁদের ভিডিও। বেজিংয়ের মেয়ে স্যান্ডি এবং হরিয়ানার যুবক অভির সুখী সংসার এখন জার্মানিতে।
আরও পড়ুন-
শনিবার কতটা বদলে গেল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, ভারতের কোন শহরে কত হল লেটেস্ট দর?
জীবনে টাকাকড়ি বাড়বে, নাকি খরচ হবে প্রচুর? হাতের রেখাতেই আঁকা রয়েছে আর্থিক লাভ-ক্ষতির অঙ্ক
প্রেমিকের গালে সপাটে চড় কষালেন তনুশ্রী চক্রবর্তী, কার্শিয়ং-এর পাহাড়ে সমীকরণের জট