
ভ্রমণের চাহিদার দ্রুত এবং ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে, আগামী পাঁচ বছরে প্রধান শহরগুলো থেকে নতুন ট্রেন ছাড়ার ক্ষমতা বর্তমান স্তরের থেকে দ্বিগুণ করতে হবে। আগামী বছরগুলোর চাহিদা মেটাতে বর্তমান পরিকাঠামোর উন্নতি করা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, "আমরা যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং ভিড় কমাতে বিভিন্ন শহরে কোচিং টার্মিনাল প্রসারিত করছি, বিভাগীয় এবং পরিচালন ক্ষমতা বাড়াচ্ছি। এই পদক্ষেপ আমাদের রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে উন্নত করবে এবং দেশব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে।''
এদিকে, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন ছাড়ার ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে: বর্তমান টার্মিনালগুলোতে অতিরিক্ত প্ল্যাটফর্ম, স্টাবলিং লাইন, পিট লাইন এবং পর্যাপ্ত শান্টিং সুবিধার মাধ্যমে ক্ষমতা বৃদ্ধি; শহরাঞ্চলের ভেতরে ও আশেপাশে নতুন টার্মিনাল চিহ্নিত করা এবং তৈরি করা; মেগা কোচিং কমপ্লেক্সসহ রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা; বিভিন্ন পয়েন্টে বর্ধিত ট্রেন সামলানোর জন্য ট্র্যাফিক সুবিধার কাজ, সিগন্যালিং আপগ্রেডেশন এবং মাল্টিট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি।
এই কাজটি শহরতলির এবং শহরতলির বাইরের উভয় ট্র্যাফিকের জন্য করা হবে, প্রতিটি বিভাগের স্বতন্ত্র প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে। ৪৮টি প্রধান শহরের জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা বিবেচনাধীন রয়েছে। এই পরিকল্পনায় একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ট্রেন পরিচালনার ক্ষমতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পিত, প্রস্তাবিত বা ইতিমধ্যে অনুমোদিত কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, যাতে এই সংযোজনের সুবিধাগুলো অবিলম্বে উপলব্ধি করা যায়। এটি বছরের পর বছর ধরে ট্র্যাফিকের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে। পরিকল্পনাটি কাজগুলোকে তিনটি বিভাগে ভাগ করবে, অর্থাৎ, অবিলম্বে, স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনাগুলো নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং সংজ্ঞায়িত ফলাফলসহ সুস্পষ্ট হবে। যদিও এই কাজটি নির্দিষ্ট স্টেশনগুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, প্রতিটি জোনাল রেলওয়েকে তাদের বিভাগজুড়ে ট্রেন পরিচালনার ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে, যাতে কেবল টার্মিনালের ক্ষমতাই বাড়ানো না হয়, বরং স্টেশন এবং ইয়ার্ডে বিভাগীয় ক্ষমতা এবং পরিচালনগত সীমাবদ্ধতাগুলোও কার্যকরভাবে সমাধান করা হয়।