দিল্লি বিমানবন্দরে সামনে ট্যাক্সিতে পাইলটের সর্বস্ব লুঠ, তদন্তে পুলিশ

  • ফের প্রশ্নের মুখে দিল্লির আইন শৃঙ্খলা ব্যাবস্থা
  • ১২ই জুলাই রাত্রে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে পাইলটের সর্বস্ব লুঠ হওয়ার ঘটনা
  • আক্রান্ত ব্যক্তি ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে কর্মরত একজন পাইলট
  •  অভিযোগ তিন অজ্ঞাতপরিচয় লক্ষাধিক  টাকা হাতিয়ে নেয়
     

debojyoti AN | Published : Jul 16, 2019 6:03 AM IST / Updated: Jul 16 2019, 12:09 PM IST

ফের শিরোনামে দিল্লি। এবার খোদ ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনেই ছিনতাই-এর শিকার হলেন এক বিদেশি পাইলট। ১২ই জুলাই রাতে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিমানবন্দরের সামনেই এক ট্যাক্সি চালক ও তার সঙ্গীরা ওই পাাইলটের সর্বস্ব লুঠ করে নেয়।  জানা গিয়েছে, কানাডার বাসিন্দা ওই পাইলট বর্তমানে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কর্মরত। 

পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া বিদেশি পাইলটের নাম মহম্মদ মেহেদু ঘানজানফানি। তিনি বিমানবন্দরে তার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে কয়েক মিটার হেঁটে তিনি দিল্লী ক্যান্টনমেন্টের অদূরে মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর গেটের কাছে পৌঁছন। মেট্রো স্টেশনের কাছে পৌঁছে তিনি যখন ফোনে তার গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন একটি ট্যাক্সি সেখানে উপস্থিত হয়। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার( আই জি আই এয়ারপোর্ট) সঞ্জয় ভাটিয়া জানিয়েছেন ট্যাক্সিটি-কে দেখতে পেয়ে মহম্মদ ঘানজানফানি তাঁর চালক কে অনুরোধ করেন তাকে পার্শ্ববর্তী একটি জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ওই স্থানে তাঁর সংস্থার গাড়িটি অপেক্ষা করছিল। পৌঁছে দেওয়ার জন্য ট্যাক্সিটিকে তিনি তার জন্য তিনি ১০০ টাকা দিতেও রাজি হন। 

ট্যাক্সিটিতে সেই মুহূর্তে চালক ছাড়াও আরও দুই জন উপস্থিত ছিলেন। মেহেরম নগর ছাড়িয়ে এগোনোর পরেই, ট্যাক্সিতে উপস্থিত ওই দুই ব্যক্তি মহম্মদ ঘানজানফানির থেকে জোর করে ডেবিট কার্ড, ভিসা কার্ড ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এমনকী, কার্ডগুলির পিনকোডও ছিনতাইকারীরা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই কার্ড দুটি থেকে মোট ১ লক্ষ্য টাকা তুলে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই পাইলট। এমনকী তাঁর সঙ্গে থাকা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় বারো হাজার টাকা এবং ৩০২ ডলার( যার ভারতীয় মূল্য প্রায় ২০,৫০০) ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর  তাকে মহীপালপুর উড়ালপুলের ওপর ফেলে দিয়ে ট্যাক্সিটি করেই চম্পট দেয় তারা। 
 
কোনক্রমে বাড়ি পৌছে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ ঘানজানফানি। অভিযোগ পেয়েই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। ট্যাক্সিটির নম্বর প্লেটের শেষের কয়েকটি সংখ্যা ঘানজানফানির  মনে থাকার ফলে তদন্তে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অপরাধীদের সনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।

Share this article
click me!