সিন্ধু সভ্যতার বাসিন্দাদের ডায়েটে ছিল পনির আর দুধের খাবার, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী

  • সিন্ধু আমলেও দুধ সংরক্ষণ করা হত
  • পনির তৈরি করা হত বলেও মনে করা হচ্ছে 
  • একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য 
  • গবেষরদলের প্রধান একজন বাঙালি বিজ্ঞানী

আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেই ভারতে দুগ্ধজাত উৎপাদন শুরু হয়েছিল। সিন্দু সভ্যতার আমলের বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে। যা থেকে স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে সিন্ধু সভ্যতার বাসিন্দারা দুগ্ধজাত উৎপাদনে রীতিমত পটু ছিলেন। তবে সেই সময় কী কী উৎপাদন হত তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকদের দলটি। আর এই গবেষক দলে ছিলেন টোরেন্টোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি অধ্যাপক কল্যাণ শেরব চক্রবর্তী। '

নেপালের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে চিন, ড্রাগনদের পা পড়েছে সীমান্তবর্তী ৭টি জেলায়

Latest Videos

আবারও প্রদীপ জ্বালাতে আবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, এবার দেশের সেনা জওয়ানদের জন্য .

সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় একই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেটির লেখক টরেন্টোর মিসিসাউগা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কল্যাণ শেখর চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালে সিন্ধু সভ্যতায় দুধ থেকে নানা জাতীয় জিনিস প্রস্তুত হত। গুজরাতের একটি গ্রামীণ জনপদ কোটাগা ভাদলির প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে পাওয়া মাটির বেশ কয়েকটি বাসন থেকে তেমনই নমুনা পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন মৃৎশিল্পের যে ভগ্নাবশেষগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলির রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ৫৯টি নমুনার মধ্যে ২২টিতে ডেয়ারি লিপিডের উপস্থিত রয়েছে। স্থিতিশীল আইসোটোপ বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন ওই জিনিসগুলির মধ্যে দুদ্ধজাত দ্রব্য ব্যবহারের চিহ্ন  রয়েছ। পাশাপাশি তাঁরা আরও দাবি করেছেন ছাগল আর ভেড়ার পরিবর্তে গরু ও মহিষের দুধই সেই সময় বেশ ব্যবহার করা হত। কল্যাণ শেখর চক্রবর্তী মনে করেন, দুগ্ধ উৎপাদন সহজলভ্য হওয়ার জন্য সমাজে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছিল। তিনি আরও বলেন সেই সময়কার বাসিন্দারা কোনও পশু হত্যা না করেই পশুজাত প্রোটিন আরোহন করতে পারতেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন এজাতীয় পরীক্ষা রীতিমত কঠিন ছিল। কারণ কোনও একটি পশুর হাড় থেকে বা মাংস থেকে সেটি কোন প্রজাতির তা বলা জাহন। কিন্তু দুধের ব্যবহার কোনও একটি পাত্রের নমুনা থেকে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। প্রথমত সেই নমুনাটি অদৃশ্য থাকে। তিনি আরও বলেন ভারতে এই প্রথম এজাতীয় বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ব্যবহার করা হয়েছে। 

আর বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে সেযুগের মানুষ দুধ সংরক্ষণ করতে পটু ছিল। তারা পনির তৈরি করতে পারত। কারণ এতদিন ধরে রীতিমত জল্পনা চলছিল যে উপমাহাদেশের বাসিন্দারা কবে থেকে পনির তৈরি করতে শিখল। এই গবেষণায় পরিষ্কার হয়েছে যে সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকেই পনিরের ব্যবহার চালু ছিল। আর এটি সেই সময় থেকে এখানকার মানুষের খাবার একটি পদ ছিল। ২০১০ সালে থেকে গ্রামীণ এলাকা খননের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময় থেকেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কল্যাণ শেখর চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক গ্রেগ সটলার। আর ছিলেন পুনের ডেকান কলেজ পোস্টগ্রাজুয়েট অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউের ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক প্রবোধ শিবওয়ালকার। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
'পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডারা সর্বত্র ভোট লুট করেছে' মারাত্মক অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
'কত বড় সাহস! পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে ভোট দিতে যাবে না' এ কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya