
Indian Astronaut Shubhanshu Shukla : আজকের দিনটি ভারতীয় মহাকাশ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ভারতীয় মহাকাশচারী শুভংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আমেরিকান মিশন Axiom-4 এর অধীনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) যাচ্ছেন। আমেরিকার ফ্লোরিডা NASA-র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে SpaceX-এর ফ্যালকন-৯ রকেট তাকে আকাশের উচ্চতায় নিয়ে যাবে। শুভংশু শুক্লা এখন ISS-এ যাওয়া প্রথম ভারতীয় এবং রাকেশ শর্মার পর মহাকাশে যাওয়া দ্বিতীয় ভারতীয় হবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তিনি যাচ্ছেন, সেটা আসলে কী, কীভাবে কাজ করে এবং এর গুরুত্ব কী?
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কী?
ISS একটি বিশাল মহাকাশ ল্যাব, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০৮ কিলোমিটার উপরে ঘুরছে। এটি কোনও সায়েন্স ফিকশন মুভির সেট নয়, বরং একটি বাস্তব বৈজ্ঞানিক বিস্ময়। এখানে বিজ্ঞানী, মহাকাশচারী এবং প্রকৌশলীরা মিলে মহাকাশ এবং পৃথিবী সম্পর্কিত গবেষণা করেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কয়টি দেশ মিলে তৈরি করেছে?
ISS একটি যৌথ প্রকল্প, যাতে অনেক দেশ জড়িত। আমেরিকা (NASA), রাশিয়া (Roscosmos), ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA), জাপান (JAXA) এবং কানাডা (CSA) এই দেশগুলি এটি তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের কাজ ১৯৯৮ সালে শুরু হয়েছিল এবং এখন এটি বৃহত্তম বিজ্ঞান মিশন।
ISS ভিতরে কেমন?
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে আপনি মহাকাশে একটি ছোট শহর বলতে পারেন। এতে ল্যাবরেটরি, থাকার জন্য মডিউল, স্পেসওয়াকের জন্য এয়ারলক এবং সোলার প্যানেল রয়েছে। এখানে মহাকাশচারীরা গবেষণা করেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কী কাজ করে?
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, যেমন - মানবদেহের উপর মহাকাশের প্রভাব, নতুন ওষুধের পরীক্ষা, পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ুর বিশ্লেষণ। এই তথ্য ভবিষ্যতের মঙ্গল এবং চাঁদ অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শুভংশু শুক্লা কবে পৌঁছাবেন ISS-এ, কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাঁর যাত্রা?
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১২:০১ টায় ফ্লোরিডার NASA-র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুভংশু শুক্লা SpaceX-এর ড্রাগন ক্যাপসুলে ISS যাবেন, যা প্রায় ২৮.৫ ঘন্টা পর, অর্থাৎ ২৬ জুন সন্ধ্যা ৪:৩০ টায়, ISS-এর সাথে সংযুক্ত হবে। ৪১ বছর পর ভারতের কোনও মহাকাশচারী ISS-এ পৌঁছাচ্ছেন। শুভংশুর এই উড়ান একটি বৈজ্ঞানিক এবং কূটনৈতিক সাফল্য। তিনি ISRO এবং NASA-র প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অধীনে এই সুযোগ পেয়েছেন, যা ভবিষ্যতে ভারতের মহাকাশ নীতি এবং গগনযান অভিযানকে আরও শক্তিশালী করবে।