১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল পি চিদম্বরমকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে তিহার জেলে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্যান্য বন্দীদের মতোই খাবার দেওয়া হবে তাঁকে। চিদম্বরম তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাবার বিরোধিতা করেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অবশ্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতের বদলে ইডির হেফাজতে যেতে আগ্রহী ছিলেন।
আজ থেকে তিনি তিহার জেলে থাকবেন আর পাঁচজন সাধারণ বন্দীর মতোই। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় শেষ পর্যন্ত তিহারে যাওয়া আটকাতে পারলেন না পি চিদম্বরম। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একই দিনে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার রায়ের বিরুদ্ধে যে আবেদন করেছিলেন তাও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
এরপরই তাঁকে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনির মধ্যে, পুলিশ বাসে করে তিহার জেলে আনা হয়। পুলিশ বাস থেকেই তিনি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাতও নাড়েন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তার কারণে তাঁকে আলাদা সেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেইমতোই তাঁকে তিহারের ৭ নম্বর জেলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিহার জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েল।
তিনি আরও জানিয়েছেন রাতে তিহারের অন্যান্য কয়েদীদের মতোই তাঁকে রুটি-ডাল-সব্জিই দেওয়া হবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা নেতা হওয়ার কারণে বাড়তি কোনও বাড়তি সুবিধা তিনি পাবেন না। তবে তাঁকে চশমা, ওষুধ, পশ্চিমী শৈলির টয়লেট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন চিদম্বরম তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাবার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, সিবিআই ইতিমধ্যেই তাঁণকে যা প্রশ্ন করার কর ফেলেছে। তাই তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে না পাঠিয়ে বরং ইডির হাতে তুলে দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁর সেই আবেদ মানেনি আদালত।