মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার হুগলির সব কারখানা বন্ধের নির্দেশ দিল
তাহলে কি অবস্থা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে
প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য
ক্রমে চাপ বাড়ছে মমতা সরকারের উপর
রাজ্য হিসাব দেয় একরকম, কেন্দ্র দেয় আরেকরকম। ভারত তথা বাংলায় কোভিড-১৯ হানা দেওয়ার পর থেকেই এই ধারা চলছে। এমনকী ভারতের কোভিড ট্র্যাকার ওয়েবসাইটে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তথ্যের পাশেই রয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। গত দু-এক দিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভিডিও ও অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে আরই ধাঁধা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে। এরমধ্য়ে রাজ্য সরকার থেকে এদিন এক নয়া নির্দেশিকা এল, বিরোধীরা দাবি করছেন যা একপ্রকার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নেই, তা স্বীকার করে নেওয়ার সামিল।
এদিন হুগলি জেলা প্রশাসনকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় রাজ্য সরকার জেলার সব কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে সরকার শুধু কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে থাকা কারখানাগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। এদিনের নির্দেশিকায় তার বাইরে থাকা কারখানাগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করছেন, সব কিছু ঠিক রয়েছে। তাহলে কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরের কারখানাগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল কেন?
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জাতীয় স্তরে। এদিন নির্দেশিকাটি তুলে দিয়ে একটি টুইটে বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা অমিত মালব্য বলেছেন, 'আতঙ্কিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন হুগলির সমস্ত শিল্প ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে...(তাহলে কি) এমন কিছু আছে যা পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানে এবং আমাদের জানতে চায় না? এটি পরিস্থিতি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার স্বীকারোক্তি?'
বস্তুত, প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোভিড-১৯ রোগীর হিসাবের সঙ্গে কেন্দ্রের হিসাব মেলে না, তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এবং যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের আক্রান্ত হিসাবে দেখানো যাবে না। শুধুমাত্র এই মুহূর্তে যাঁরা আক্রান্ত তাঁরাই থাকবেন তালিকায়। কিন্তু, গত কয়েকদিনে কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, বিরোধী পক্ষ দাবি করেছে, আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে কখনও কোভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়াই, কখনও বা পরীক্ষার ফল আসার আগেই, মৃতদেহ রোগীর বাড়ির লোককে না জানিয়েই সৎকার করে দিচ্ছে সরকার। এছাড়া পরীক্ষা খুব কম হওয়ার প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেক কম দেখাচ্ছে বাংলায় এমন অভিযোগও রয়েছে।