পার্সেলের ভেতরে রয়েছে বিরল প্রজাতির দুমুখো এক রেড স্যান্ড বোয়া সাপ। যার দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আর সেই সাপ পাচার করতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের এক কর্মী। ঘটনাস্থল দেশের তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানী বেঙ্গালুরু।
বিরল প্রজাতির সাপটিকে পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্র্যা়ঞ্চ। এদের মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ রিজওয়ান (২৬), এবং অপরজনের নাম আজহার খান (২৭)। ধৃতরা দু'জনেরই গুরাপান্নাপালিয়া এলাকার বাঙ্গারঘাটা এলাকার বাসিন্দা।
বেঙ্গালুরু পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার অব পুলিশ (ক্রাইম) সন্দীপ পাতিল জানিয়েছেন, "বোয়েদেই পরিবারের স্যান্ড বোয়া সাপটি দুমুখো। এটি বিরল প্রজাতির সাপ। বেআইনি ভাবে বন্য প্রাণ পাচারের অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের স্কুটার ও ৩টি মোবাইলফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।"
জানা যাচ্ছে রিজওয়ান ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করত। তার বন্ধু আজহার খান সাপটিকে ডেলিভারি ব্যাগে ভরে। এরপরে দুজনে মিলে সেটিকে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল। লকডাউনের মধ্যে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডেলিভারি বয়েদের রাস্তায় চলাচল করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টায় ছিল দুই যুবক।
আন্তর্জাতিক বাজারে রেড বোয়া সাপের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এর দাম ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওঠে। জেপি নগরে সরকারি সিগন্যালের কাছে বাসাপ্পা নগরে সাপটিকে বেআইনি ভাবে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল দুই যবক। সেই সময় সিসিবি পুলিশের একটি দল সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপরেই পার্সেল খুলতে বেরিয়ে পরে দুমুখো বোয়া সাপ।
ওষুধ তৈরির পাশাপাশি বোয়া সাপ সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবেও বিবেচিত হয়। সেই জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে এই সাপের অত্যন্ত চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যে বণ্য প্রাণ নিরাপত্তা আইনে এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কাগ্গালিপুরা রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার।