প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে জ্যোতিরাদিত্য, সঙ্গে অমিত শাহ, সিন্ধিয়ার দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে

চরম সংকটে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে সিন্ধিয়ার
বৈঠকে রয়েছেন অমিত শাহ

কী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া? একটা সূত্র বলছে  নতুন দল গঠন করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশের মসনদ দখল করতে চাইছেন। তবে আগেই রটে গিয়েছিল জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেইসময় মোদির বাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেই বৈঠকের কী পরিণতি তা এখনও জানায়নি কেন্দ্রীয় স্তরে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন কংগ্রেস সরকার অন্তর্বতী বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বিজেপি। 

সংকট ক্রমশই বাড়ছে মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার। সরকার গঠনের পর কেটেছে মাত্র ১৫টি মাস। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সরকার টিকিয়ে রাখতে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে ৭৩ বছরের কমল নাথের। কারণ এখনও খোঁজ নেই দলের ১৭ বিধায়কের। সূত্রের খবর প্রায় ২০ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিতে রাজি। যাঁরা মধ্যপ্রদেশের রাহুল ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগত বলেই পরিচিত। সেই বিধায়ক দলে রয়েছেন বেশ কয়েক জন মন্ত্রীও। তবে ১৭ বিধায়ককে দলে ফিরিয়ে এনে সংকট মোচনের চেষ্টায় কমল নাথের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিগ্বিজয় সিং। তাঁরও বয়স ৭৩ পেরিয়েছ। দুই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সরকারের এই সমস্যার জন্য রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন প্রবীন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। যদিও এদিন সকাল থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন অসুস্থ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে। 

লোকসভা নির্বাচনের আগেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে জিতেছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে ভোট লড়াইয়ের সামনের সারিতে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শচিন পাইলট। কিন্তু সরকার গঠনের সময়ই সামনে আসে কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল। সেই সময়ই রাহুল গান্ধি কিছুটা হলেও আড়াল করেন তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শচিন পাইটলকে। ভোট যুদ্ধে জয়ী কংগ্রেসের  দুই অলিখিত সেনাপতিকেই ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়। সূত্রের খবর সেই সময় কংগ্রেসের ধারনা ছিল লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েই জ্যোতিরাদিত্য ও শচিনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে রীতিমত পার্যদস্ত হয় কংগ্রেস। ফলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শচিন পাইটলের মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই সময় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন সিন্ধিয়া ও পাইটল। দুই যুব নেতাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু লোকসভায় ফল পর্যালোচনায় সামনে আসে দুই রাজ্যের দলীয় কোন্দলে কারণেই একের পর এক হার স্বীকার করতে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীদের। লোকসভা ভোটে হারের দায় নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু তারপরেও দলের কোনও বরিষ্ট নেতাকে পদ ছাড়তে দেখা যায়নি। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে রীতিমত উষ্ণা প্রকাশ করেন তিনি। বর্তমানে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। দলীয় কর্মসূচিতেও এখন আর সামনের সারিতে দেখা যায় না রাহুল গান্ধিকে। একই ছবি তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই অনুগামীদের ক্ষেত্রেও। তাঁরাও বর্তমানে অনেকটা কোনঠাসা। এই পরিস্থিতিতে কী দলবদল করে ভারতীয় রাজনীতিতে নিজের অস্বিত্ব বজায় রাখতে চাইছেন জ্যোতিরাদিত্যরা? 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury