সিবিআইকে লেখা চিঠিতে ইন্দ্রাণীর দাবি, সম্প্রতি জেলে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। সেই মহিলা জানিয়েছেন যে, শিনা বোরাকে তিনি নাকি কাশ্মীরে দেখতে পেয়েছেন। ওই মহিলার দাবিকে চিঠিতে উল্লেখ করে ইন্দ্রাণীর অনুরোধ, শিনার খোঁজে কাশ্মীরে অনুসন্ধান চালাক সিবিআই। এ প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে একটি আবেদনও করেছেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর মোড় শিনা বোরা (Sheena Bora) হত্যা মামলার। বেঁচে রয়েছে মেয়ে শিনা বোরা। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে (Kashmir) রয়েছে সে। এমনই, চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় (Indrani Mukerjea)। তাঁর দাবি, এতদিন ধরে যাকে খুন করার অভিযোগে তিনি জেল (Jail) খেটেছেন সে নাকি বহাল তবিয়তে কাশ্মীরে বসবাস করছে। তাই শিনার খোঁজে কাশ্মীরে অনুসন্ধান করার জন্য সিবিআইকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সিবিআইকে লেখা চিঠিতে ইন্দ্রাণীর দাবি, সম্প্রতি জেলে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। সেই মহিলা তাঁকে জানিয়েছেন যে, শিনা বোরাকে তিনি নাকি কাশ্মীরে দেখতে পেয়েছেন। ওই মহিলার দাবিকে চিঠিতে উল্লেখ করে ইন্দ্রাণীর অনুরোধ, শিনার খোঁজে কাশ্মীরে অনুসন্ধান চালাক সিবিআই। এ প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে একটি আবেদনও করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড (Sheena Bora Murder Case)। অভিযোগ, ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল। একটি গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল ২৪ বছরের শিনাকে। শিনা ছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না (Sanjeev Khann) ও চালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে রায়গড়ের (Raigad district) নির্জন জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। মাটি চাপা দেওয়া না থাকলে অনেক আগেই তিনি ধরা পড়ে যেতেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন ইন্দ্রাণী। প্রথমে পিটারের (Peter Mukerjea) কাছে নাকি নিজের মেয়ে শিনাকে বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে। সেই সময় একটি অন্য মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইকে (Shyamvar Rai) গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ইন্দ্রাণী ছাড়া শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত হলেন সঞ্জীব খান্না এবং শ্যাম রাই। সিবিআইয়ের দাবি, শিনা এবং পিটারের আগের পক্ষের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পিটার এবং ইন্দ্রাণী। সেকারণেই শিনাকে খুন করা হয়েছিল। যদিও এই ঘটনার ৯ বছর পর এখন ইন্দ্রাণী দাবি করছেন, যে তাঁর মেয়ে নাকি জীবিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মেয়ে শিনাকে হত্যার অভিযোগে ২০১৫ থেকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দি ইন্দ্রাণী। নভেম্বরই বম্বে হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ইন্দ্রাণী। এরই মধ্যে সিবিআইকে চিঠি লিখে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। আর তাঁর এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে ঘুরে যাবে শিনা বোরা হত্যা মামলার মোড়। তাঁর এই চিঠিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।