ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন নাবিক - প্রকল্পটি কিন্তু সাধারণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না। এটি একটি কৌশলগত প্রকল্প।
ভারতের নিজস্ব জিপিএস সিস্টেম নাবিক (NavIC) নিয়ে ইসরোর পরিকল্পনার কথা ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। ভরতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এশিয়ানেট নিউজের চেয়ারম্যান রাজেশ কালরাকে বলেছেন, এই প্রকল্পের কারণে দেশের সেনাবাহিনী যাতে উপকৃত হয় তার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তিনি আরও জানিয়েছেন ব্ল্যাকহোল নিয়ে অধ্যায়নের জন্য ইসরো তৈরি হচ্ছে। এস সোমনাথের সঙ্গে ইসরোর বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখে এশিয়ানেট নিউজ। তিনি একাধিক পরিকল্পনা ও গবেষণা নিয়ে কথা বলেন।
ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন নাবিক - প্রকল্পটি কিন্তু সাধারণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না । এটি একটি কৌশলগত প্রকল্প। সেনা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পরিবেষা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। সাধাকণ জিপিএস ২০ মিটারের জন্য কার্যকর হয়। কিন্তু নাবিক মাত্র ৩ মিটারের জন্য কার্যকর হবে। এটি একটি ডেমোট্রেশনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এটির মাধ্যমে সেনা, নৌবাহিনী, বায়ুসেনাকে পরিষেবা দেওয়াই মূল লক্ষ্য।
সোমনাথ আরও জানিয়েছে ২ বঠছর এখনও নাগবে নাবিক প্রকল্পের জন্য। তবে প্রথম দফাতেই নাগরিকরা এক জন্য কোনও পরিষেবা পাবে না। এরজন্য আলাদা যন্ত্রপাতি লাগবে। এই প্রকল্পের জন্য দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।
এশিয়ানেট নিউজ জানতে চেয়েছিল এক বছরের মধ্যে একটা কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ইসরোকে তৈরি করতে বলা হয়, সেটা সম্ভব। তার উত্তরে সোমনাথ বলেন, যদি কম্পোনেন্টস তৈরি থাকে, তবে অবশ্যই সম্ভব।
সোমনাথ বলেছেন বিদেশ থেকে সামগ্রী আনলে খচর আরও বেশি পড়ত। কিন্তু দেশীয় সামগ্রীর ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কম হয়। কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ফারাক হয় না। কিছু জিনিস এখনও বিদেশ থেকে আনা হয়। তিনি চন্দ্রযানের একটি রেপ্লিকা দেখিয়ে বলেন, 'এটা দেখে কি মনে হচ্ছে দেশীয় বা বিদেশের তৈরি?'মহাকাশ অভিযানের খরচ অনেকটাই কমে গেছে। প্রোসেসর, চিপ - প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী এখন দেশেই তৈরি হয়। গুণগতমানে পার্থক্য তেমন কিছু না হলেও ভারতে তৈরি জিনিসের ব্যবহার এখন অনেকটাই বেড়েছে।