ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন থাকা জরুরি, গগনযান চ্যালেঞ্জের কথা এশিয়ানেট নিউজকে জানালেন ইসরোর চেয়ারম্যান

স্পেস স্টেশন তৈরি করা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা দেখানোর জন্য নয়। গবেষণা আর বিজ্ঞানের জন্য ভারতের নিজস্ব স্পেস থাকা খুবই জরুরি।

 

Saborni Mitra | Published : Sep 21, 2023 4:33 PM IST / Updated: Sep 21 2023, 10:04 PM IST

অমৃতকালের মধ্যেই স্পেস স্টেশন তৈরির চেষ্টা করছে ইসরো। ভরতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এশিয়ানেট নিউজের চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা এমটাই জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন গগনযান নিয়ে কাজ করছে ইসরো। যেটা অত্যাধিক জটিল একটি প্রকল্প। চার বছর ধরে এই প্রকল্প চলছে। অমৃতকালের মধ্যে অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে চাঁদের আরও রহস্য উন্মোচন করা আরও কম সময়ে কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে কাজ হবে। তাও সেটা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে।

স্পেস স্টেশন তৈরি করা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা দেখানোর জন্য নয়। গবেষণা আর বিজ্ঞানের জন্য ভারতের নিজস্ব স্পেস থাকা খুবই জরুরি। অমৃতকালের মধ্যে এটি তৈরির চেষ্টা রয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের । অমৃতকালের মধ্যে অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে চাঁদের আরও রহস্য উন্মোচন করা আরও কম সময়ে কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে কাজ হবে। তাও সেটা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে। তিনি বলেছেন বিদেশ থেকে সামগ্রী আনলে খচর আরও বেশি পড়ত। কিন্তু দেশীয় সামগ্রীর ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কম হয়। কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ফারাক হয় না। কিছু জিনিস এখনও বিদেশ থেকে আনা হয়। তিনি চন্দ্রযানের একটি রেপ্লিকা দেখিয়ে বলেন, 'এটা দেখে কি মনে হচ্ছে দেশীয় বা বিদেশের তৈরি?'

তিনি জানিয়েছেন গগনযান খুবই জটিল প্রকল্প। এটি লঞ্চ করাও খুব কঠিন। তাই পরিকল্পিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। চার বছরের মধ্যেই এটি লঞ্চ করার চেষ্টা করা হচ্ছে কঠিন। তিনি বলেছেন এইক্ষেত্র যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রথম সফর রীতিমত চ্যালেঞ্জের বলেও জানিয়েছেন। ২০২৫ এর আগে এই প্রকল্প শুরু করা যাবে না। সোমনাথ আরও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি গগনযান মিশন নিয়ে সরকারের সঙ্গেও কথা বলছেন। তিনি বলেছেন, যাত্রীদের সুক্ষরিতভাবে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া ও সেখান থেকে ফিরিয়ে আনাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। নিরাপত্তার খামতি প্রকল্প চালু হলেও তার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন বর্তমানে স্পেস প্রোগ্রামের জন্য যে সব সামগ্রী লাগে তার অধিকাংশই দেশে তৈরি হয়। কেবল যা অত্যান্ত জরুরি আগে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হত। কিন্তু এখন দেশের তিনটি কোম্পানি রয়েছে, সেখান থেকেই নেওয়া হয়। যার কারণ মহাকাশ অভিযানের খরচ অনেকটাই কমে গেছে। প্রোসেসর, চিপ - প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী এখন দেশেই তৈরি হয়। গুণগতমানে পার্থক্য তেমন কিছু না হলেও ভারতে তৈরি জিনিসের ব্যবহার এখন অনেকটাই বেড়েছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!