
ইসরো শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার (SDSC SHAR) থেকে ১০০টি উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করল। ২০২৪ সালের শেষে এবং ২০২৫ সালের শুরুতে এই শতক রেকর্ড নথিভুক্ত হল। আজ ২৯ তারিখ সকাল ৬:২৩ মিনিটে GSLV-F15 রকেটের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে, যা আমরা আশা করেছিলাম।
মোট ১০০টি উৎক্ষেপণের মধ্যে ৯টি ব্যর্থ হয়েছে। বাকি ৯১টি উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। একসময় রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল ভারত এখন স্বদেশী প্রযুক্তিতে উপগ্রহ এবং রকেট তৈরি করছে।
১০০তম উৎক্ষেপণে, দেশীয় নেভিগেশন সিস্টেম নেভিকের SVN 02 উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি শ্রীহরিকোটার দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই উপগ্রহটি ভারতের বিমান চলাচল, নৌ চলাচল এবং সামরিক কাজে ব্যবহৃত হবে। ১৯৭৯ সালে শুরু হওয়া উৎক্ষেপণ থেকে ইসরো অনেক বড় সাফল্য অর্জন করেছে। সম্প্রতি, নেভিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক ছোট ডিভাইসের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে।
নেভিক (NavIC) একটি বিশেষ প্রযুক্তি যা স্বদেশীভাবে তৈরি পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে কাজ করে। সম্প্রতি উৎক্ষেপন সিস্টেমটিও একই প্রযুক্তিতে তৈরি। এর মাধ্যমে ভারতের বিমান চলাচল, নৌ চলাচল এবং সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুতর তথ্য সরবরাহ করা যায়।
পূর্বে এই প্রযুক্তির জন্য ভারত রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু এখন স্বদেশী প্রযুক্তির উন্নতির পর ভারত এই ধরনের প্রযুক্তিতে স্বাবলম্বী।
ইসরোর প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিশ্বে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এতদিন নেভিক সিগন্যাল শুধুমাত্র বড় আকারের ডিভাইসের মাধ্যমেই গ্রহণ করা যেত। কিন্তু নতুন উৎক্ষেপণের ফলে এখন ছোট চিপ ডিভাইস, যেমন গ্যাজেট এবং স্মার্টওয়াচ, এই সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারবে।
ইসরো বর্তমানে মহাকাশ গবেষণায় সর্বনিম্ন খরচে অত্যন্ত জটিল অভিযান পরিচালনা করছে। একসময় রাশিয়া থেকে ইঞ্জিন আমদানি করলেও, এখন ইসরো নিজেই ইঞ্জিন তৈরি করছে। ১০৪টি উপগ্রহ একসঙ্গে উৎক্ষেপণের মতো সাাহসিকতা দেখিয়েছে ।
ভবিষ্যতে, ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের জন্য এই ১০০তম উৎক্ষেপণ পথ প্রশস্ত করবে। এগুলি শুধু ইসরোর সাফল্যই নয়, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় অগ্রগতির প্রমাণ।