ইসরোর মুকুটে আরও একটি সাফল্যের পালক। এ দিন ভারতীয় সময় ভোর ২.৫৩ মিনিটে ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা কউরউ দ্বীপ থেকে শক্তিশালী জিস্যাট ৩০ স্যাটেলাইট-এর সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। নতুন এই উপগ্রহের মাধ্যমে টেলিভিশন, টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সম্প্রচার পরিষেবার মান আরও উন্নত হবে। ২০২০ সালে এটাই ইসোর-র প্রথম মহাকাশ অভিযান ছিল। ইউরোপিয়ান হেভি রকেট অ্যারিয়ান ৫-এ করে এই জিস্যাট ৩০ উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যারিয়ান ৫ ভিএ২৫১ রকেটের উপরের অংশ জিস্যাট ৩০ রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়।
আরও উন্নত হবে ইন্টারনেট পরিষেবা
ইসরো দাবি অনুযায়ী, জিস্যাট ৩০ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এটি ইনস্যাট ৪এ উপগ্রহের বদলে কাজ করবে। ইনস্যাট ৪এ উপগ্রহের অনেকটাই বয়স হয়ে হয়ে যাওয়ায় সেটির বদলে জিস্যাট ৩০- কে কাজে লাগাতে চায় ইসরো। তাছাড়া ইনস্যাট ৪এ উপগ্রহের প্রযুক্তিও অনেক পুরনো। সবমিলিয়ে ইনস্যাট ৪এ-র কর্মক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তাই একটি শক্তিশালী উপগ্রহ লঞ্চ করার প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন- মহাকাশে নভোশ্চররা খাবেন এগরোল-ইডলি থেকে পোলাও, তুঙ্গে গগনযানের প্রস্তুতি
আরও পড়ুন- ভাষা বিতর্কে ইসরোর অভিযান, হিন্দি-সংস্কৃত ধন্দের মধ্যেই প্রশ্ন কেন নয় তামিল-কন্নড়
টেলিভিশন আপলিঙ্কিং, টেলিপোর্ট পরিষেবা, ডিজিটাল স্যাটেলাইট খবর সংগ্রহ, ডিটিএইচ টেলিভিশন পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে জিস্যাট ৩০ উপগ্রহ কাজে লাগবে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখতেও এই উপগ্রহ সাহায্য করবে। দাবি করা হচ্ছে, এই উপগ্রহের সাহায্যে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা অনেকটাই উন্নত হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকায় এখন মোবাইলের সিগন্যাল পাওয়া যায় না, সেখানেও সিগন্যাল পাওয়া সহজ হবে।
১৫ বছর কাজ করবে জিস্যাট ৩০
জিস্যাট ৩০ উপগ্রহের ওজন প্রায় ৩১০০ কেজি। লঞ্চ হওয়ার পর ১৫ বছর ধরে এটি কাজ করবে। এই উপগ্রহটিকে ইলিপ্টিকল অরবিট-এ স্থাপন করা হয়েছে। উপগ্রহে থাকা দু'টি সৌর প্যানেল-এর সাহায্যে কাজ করবে জিস্যাট ৩০।
২০২০ সালে দশটি উপগ্রহ লঞ্চ করবে ইসরো
চলতি বছরে অন্তত দশটি নতুন উপগ্রহ লঞ্চ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসরো। তার মধ্যে রয়েছে আদিত্য এল ১ উপগ্রহ। ২০২০-র মাঝামাঝি এই উপগ্রহটি লঞ্চ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যের উপর গবেষণা করার জন্য এটিই হবে ভারতের প্রথম অভিযান।