গোপনাঙ্গে আঘাত, অজানা গ্যাসে দমবন্ধ, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ

ফের উত্তপ্ত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বেপরোয়া লাঠিচার্জের অভিযোগ।

সিএএ বিরোধী পদযাত্রা-কে কেন্দ্র করে ঝামেলার শুরু।

মহিলাদের গোপনাঙ্গেও আঘাত করার অভিযোগ উঠল।

 

amartya lahiri | Published : Feb 10, 2020 5:12 PM IST / Updated: Feb 11 2020, 02:13 AM IST

মাঝে সামান্য কয়েকটা দিনের বিরতি। সোমবার সন্ধ্যায় ফের সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংসদ পর্যন্ত পদযাত্রার কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিতেই হিংসা ছড়ালো। বেপরোয়া লাঠিচার্জ করল রায়ট পুলিশ বা দাঙ্গা বিরোধী পুলিশ। শিক্ষার্থীদের দাবি মহিলাদের গোপনাঙ্গেও আঘাত করেছে দিল্লি পুলিশ।

এদিন জামিয়া মিলিয়ার বেশ কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ আগে থেকে তৈরি হয়েই ছিল। মিছিল পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলেই তাদের তলপেট লক্ষ্য করে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কিছু অজানা গ্যাস ছোঁড়ে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাতে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। মাথা গোরা, বমি-বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

এই ঘটনায় আহত অবস্থায় অন্তত ১৬ জন প্রতিবাদী শিক্ষার্থীকে আল শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে আটজনকে সন্ধ্য়াবেলাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে পাঁচ জন মহিলা রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের 'বুক ও পেটে গুরুতর আঘাত এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে' বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। তাঁকে আইসিইউ-তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বেশিরভাগকেই অর্ধ সচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

তবে পুলিশের দাবি শিক্ষার্থীদের উপর কোনওরকম লাঠিচার্জ করা হয়নি। তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা জামিয়া সমন্বয় কমিটির ডাকে আন্দোলনে সামিল হয়। তাদের থামতে বলা হলেও তারা থামেননি। তাতেই ধ্বস্তাধস্তি হয় বলে দাবি পুলিশের।

জানা গিয়েছে এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ নম্বর গেট থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়েছিল। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেই পদযাত্রা পুলিশ ব্যারিকেড গড়ে থামাতে চাইলে একদল বিক্ষোভকারী সুখদেব বিহার থানা ঘেরাও করেন। পুলিশ তাদের থামানোর চেষ্টা করায় কয়েকজন প্রতিবাদকারী ব্যারিকেডের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এখান থেকেই দুইপক্ষে সংঘর্ষ বাধে।

এর দশদিন আগেই জামিয়া নগরে এরকমই এক প্রতিবাদ মিছিলের উপর গুলি চালিয়েছিল এক হিন্দুত্ববাদী কিশোর।  তাতে একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন। তারপর কয়েকটা দিন সান্তি ছিল জানিয়া মিলিয়া। ফের অশান্তি ফিরল সিএএ-প্রতিবাদ'কে কেন্দ্র করে। পুলিশ জানিয়েছে, অশান্তি এড়াতে কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে আটক করা হয়েছে।

 

Share this article
click me!