শুধু ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি নয়। জম্মু কাশ্মীরকে ভেঙে ফেলারও প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু কাশ্নমীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করলেন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও দু'টি পার্থক্য থাকছে। জম্মু কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে কিন্তু লাদাখের ক্ষেত্রে তা থাকবে না।
সংসদে এ দিন অমিত শাহ জানিয়েছেন, কাশ্মীরের মাটিতে যেভাবে বার বার সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া হচ্ছে এবং তার জেরে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে, তাতে জম্মু কাশ্মীরকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সেখানে বিধানসভা থাকবে। অনেকটা দিল্লির আদলেই জম্মু কাশ্মীরে প্রশাসন চলবে। দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও সেখানে বিধানসভা এবং পৃথক রাজ্য সরকার রয়েছে। যদিও কোনও রাজ্যপাল সেখানে নেই। দিল্লি পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্থানীয় বাসিন্দারাই দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখকে ঘোষণা করার জন্য দাবি জানাচ্ছিলেন বলে এ দিন সংসদে দাবি করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, লাদাখে জনসংখ্যা খুব কম হলেও সেটি একটি পৃথক ভূখণ্ড। লাদাখের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকছে না।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে লাদাখ কেন্দ্রটিও দখল করেছিল বিজেপি। সেখানকার বিজেপি সাংসদ জামইয়াং সেরিং নামগিয়ালও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এতদিন জম্মু কাশ্মীর সরকারের উদাসীনতা এবং পক্ষপাতিত্বের শিকার হতো লাদাখ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে তার অবসান হল।