কেন্দ্রের দাবি বাতিল করা হোক সংবিধানের ৩৭০ ধারা, কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ধারা, জেনে নিন

Indrani Mukherjee |  
Published : Aug 05, 2019, 12:23 PM ISTUpdated : Aug 05, 2019, 12:36 PM IST
কেন্দ্রের দাবি বাতিল করা হোক সংবিধানের ৩৭০ ধারা, কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ধারা, জেনে নিন

সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রের দাবি বাতিল করা হোক সংবিধানের ৩৭০ ধারা  জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক বিধানসভা থাকবে লাদাখে কোনও বিধানসভাসভা রাখা হবে না কেন গুরুত্বপূর্ণ ৩৭০ ধারা, জেনে নিন

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পাশাপাশি দেশভাগের সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। স্বাধীন রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে তখন মহারাজা হরি সিং-এর রাজতন্ত্রই চলত। প্রাথমিকভাবে স্বাধীন রাজ্য হিসাবে পরিচালনা করার কথা ভাবলেও সাদা পোশাকের পাক সেনা কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করলে তিনি ভারতের শরণাপন্ন হন। এরপর ভারত স্বাধীন হওয়ার বছরেই অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর-এ রাজা হরি সিং কাশ্মীরকে ভারতভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

এই ধারা অনুসারে (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে)  জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতাবিহিন রাখা হয়। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমোদনও দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই ধারা অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী রাজ্য। আর এই ধারা অনুসারেই জম্মু ও কাশ্মীরে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র-এর মতো কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে ভারত সরকার কোনও আইন প্রণয়ন করতে গেলে ,সর্বপ্রথম জম্মু সরকারের সম্মতির প্রয়োজন। 

ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণ সম্পর্কিত যাবতীয় ইতিহাস সংবিধানের ৩৭০ ধারায়ে বর্ণিত রয়েছে। শুধু তাই নয়, জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা অনুসারে সম্পত্তির মালিকানার মতো মৌলিক অধিকারের বিষয়ে বাড়তি সুবিধা লাভ করে থাকে। এই বিশেষ সুবিধা কিন্তু অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা লাভ করেন না। প্রসঙ্গত, সংবিধানের এই ৩৭০ নম্বর ধারা রদ করার পদ্ধতি কিন্তু খানিকটা জটিলই বটে। তবে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা সংশোধন করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে রাজ্যের গণপরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। 

কাশ্মীর ইস্যুতে চাপ বাড়িয়ে এদিন রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন রাজ্যসভায় এসে তিনি জানান, দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতেই সংবিধানের এই ধারা বাতিল করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। আর এর ফলেই জম্মু ও কাশ্মীর আর কোনও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হবে না। এদিন রাজ্যসভায় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, কাশ্মীরের উন্নতির স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই মর্মে রাষ্ট্রপতির কাছেও প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে পর্যবসিত হবে। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক বিধানসভা থাকবে এবং লাদাখে কোনও বিধানসভাসভা রাখা হবে না।   

PREV
click me!

Recommended Stories

'বাবরি মসজিদ হলে পরিণাম ভালো হবে না' হুমায়ুনকে চরম হুঁশিয়ারি শঙ্করাচার্যের
এনডিএ সাংসদদের জন্য মোদীর নৈশভোজ আয়োজন: আঞ্চলিক ও বাজরা সমৃদ্ধ মেনু