আগামী পাঁচ বছরে, ভারতে ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান (Japan)। জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার (Japanese PM Fumio Kishida) সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
আগামী পাঁচ বছরে, ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান (Japan)। শনিবার, ভারত সফররত জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার (Japanese PM Fumio Kishida) সঙ্গে বৈঠকের পর, বড় খবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বৈঠক পরবর্তী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, দুই দেশই একটি নিরাপদ, বিশ্বস্ত, অনুমানযোগ্য এবং স্থিতিশীল শক্তি সরবরাহের গুরুত্ব বোঝে। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Sustainable Economic Growth) অর্জন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) মোকাবেলা করার জন্য এটি অপরিহার্য।
অন্যদিকে জাপানি প্রধানমন্ত্রী কিশিদা জানান, এদিনের বৈঠকে দুই শীর্ষনেতার মধ্যে ইউক্রেন পরিস্থিতি (Ukraine Russia Crisis) নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিশিদা বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা একটি গুরুতর বিষয়। আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মানছে না রাশিয়া। বিশ্বব্যবস্থার শিকড় নাড়িয়ে দিয়েছে এই হামলা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রসঙ্গে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা চেষ্টা বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে'।
আরও পড়ুন - ৭.৩ মাত্রার ভয়ানক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপানের টোকিও - তারপরই ব্ল্যাকআউট, আশঙ্কা সুনামির
আরও পড়ুন - তিন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কোয়াড বৈঠকে মোদী, আলোচনায় উঠল ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাত প্রসঙ্গ
এদিন, বিকেল ৩টে বেজে ৪০ মিনিটে, একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে নয়াদিল্লি (New Delhi) এসে পৌঁছান জাপানের প্রধানমন্ত্রী। জাপানের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। প্রথমেই নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে (Hyderabad House), দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। নরেন্দ্র মোদী এবং ফুমিও কিশিদার মধ্যে এই আলোচনার পর ভারত ও জাপান বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশ ক্লিন এনার্জি (Clean Energy Partnership) তৈরির ক্ষেত্রেও অংশিদারিত্বের কথা ঘোষণা করেছে।
পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বিশ্ব এখনও কোভিড-১৯ মহামারি (Covid-19 Pandemic) এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির সঙ্গে লড়াই করছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় এখনও বাধা রয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলিও নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-জাপান বন্ধুত্ব আরও গভীর হওয়া মানে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indo-Pacific Region) এবং বৈশ্বিক স্তরে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা উত্সাহ পাবে।
সাম্প্রতিকতম বছরগুলিতে, ভারতে নাগরিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং বুলেট ট্রেনের মতো প্রযুক্তি-ভিত্তিক উচ্চ-গতির রেলপথ তৈরির ক্ষেত্রে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জাপান। এর আগে, ২০১৪ সালেও ভারতে বড় বিনিয়োগ করেছিল জাপান। তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (Shinzo Abe) পাঁচ বছরের জন্য ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।