বাতিল আন্তর্জাতিক উড়ান, গভীরতর জেট সঙ্কট! কর্মীরা দিলেন ধর্মঘটের হুমকি

সঙ্কট ক্রমে বাড়ছে জেট এয়ারওয়েজ-এর ৷ এক সময়ের দেশের অন্যতম সেরা হিসেবে পরিচিত এই বিমান সংস্থা আপাতত গত ২৫ বছরের মধ্য়ে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাভাবে আপাতত নিজেদের যাবতীয় আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করেছে। বিমান সংখ্যা নামতে নামতে এখন মাত্র ১১টিতে এসে ঠেকেছে। ফলে ঘরোয়া বিমান পরিষেবাও চালু রাখা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

 

amartya lahiri | Published : Apr 27, 2019 10:43 AM IST / Updated: Apr 27 2019, 04:16 PM IST

সঙ্কট ক্রমে বাড়ছে জেট এয়ারওয়েজ-এর ৷ এক সময়ের দেশের অন্যতম সেরা হিসেবে পরিচিত এই বিমান সংস্থা আপাতত গত ২৫ বছরের মধ্য়ে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাভাবে আপাতত নিজেদের যাবতীয় আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করেছে। বিমান সংখ্যা নামতে নামতে এখন মাত্র ১১টিতে এসে ঠেকেছে। ফলে ঘরোয়া বিমান পরিষেবাও চালু রাখা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা দিতে গেলে অন্তত ২০টি বিমান হাতে থাকা বাধ্যতামূলক। আগেই জেট এয়ারওয়েজের চালু বিমানের সংখ্যা তার চেয়ে কমে যাওয়ায় তাদের আর আন্তর্জাতিক পরিষেবা চালাতে দেওয়া হবে কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। কিন্তু, শুক্রবার সংস্থার তরফেই জানানো হয় আন্তর্জাতিক পরিুষেবা চালু রাখার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তাদের।

এই আচমকা ঘোষণায় বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে পড়েন যাত্রীরা। জেটের সমস্যা আরও গভীর হয়েছে কর্মীদের বিক্ষোভে। মার্চ মাসের বেতনের দাবিতে শুক্রবার জেয় এয়ারওয়েজের প্রায় ২০০ কর্মী মুম্বইয়ে সংস্থার সদরদফতর মিছিল করে এসে বিক্ষোভ দেখান। পরে প্রতিষ্ঠাটা নরেশ গয়াল, চিফ এক্সিকিউটিভ বিনয় দুবে ও অংশীদার সংস্থা এসবিআই-এর চেয়ারম্যানজনীশ কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। বেতন না পেলে সোমবার থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

এরপরই জেট-সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের ডিজি ও সচিব জেট এয়ারওয়েজের বর্তমান অবস্থা একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরে এক ভিডিও কনফারেন্সে অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের সচিব, জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন।

 
তবে জেট সঙ্কট মুক্তিতে অংশীদারদের কাছ থেতে দ্রুত অন্তত ১,৫০০ কোটি টাকার 'এমার্জেন্সি ফান্ডিং' দরকার বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় বেশ কিছু সংস্থা জেটের অংশীদারি গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে জেট এয়ার ওয়েজের ২৪ শতাংশ শেয়ার হাতে রয়েছে আরেক উড়ান সংস্থা এতিহাদ-এর। তারা অংশাদারি বাড়াতে ইচ্ছুক হলেও তা কোনও ভাবেই ২৫ শতাংশের বেশি নিয়ে যেতে যাচায় না তারা। আগ্রহ দেখিয়েছে এয়ার কানাডা, ইন্ডিগো পার্টনার্স, আর্থিক সংস্থা টিপিজি-সহ আরও কয়েকটি সংস্থা।

সমীকরণ অবশ্য অনেকটাই বদলে দিয়েছেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। গত মাসেই ঋণদাতাদের শর্ত মেনে জেট এয়ারওয়েজের বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলেন নরেশ ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গয়াল। কিন্তু, তিনিও শুক্রবার নতুন করে জেট সংস্থার অংশীদারি গ্রহণের জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে সংস্থায় তাঁর ৫১ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। যার ২৬ শতাংশ তিনি পঞঅজাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখেছেন।

জানা গিয়েছে আগ্রহপত্রে তিনি ৩১ শতাংশ মালিকানা ক্রয়ের অঙ্গিকার করেছেন। প্রয়োজনে মোট ৪১.১ শতাংশ পর্যন্ত অংশীদারি নেওয়ার অঙ্গীকার করতেও সম্মত হয়েছেন। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে নতুন করে জেট ওয়ারওয়েজের শেয়ার কেনার টাকা জোগার করার জন্যই কি ঘুরপথে সময় দেওয়া হচ্ছে গয়ালকে?

 

Share this article
click me!