‘হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে’, এই দাবি তুলে বিধানসভায় ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি বিধায়করা।
রামনবমীতে অতিরিক্ত শব্দের দূষণ আটকাতে ডিজে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। এরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল ঝাড়খণ্ড বিধানসভা। রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের দাবি, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করছে ঝাড়খণ্ডের শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। অন্য দিকে, সরকার পক্ষের নির্দেশ, পুজো হতে কোনও বাধা নেই, কিন্তু, রাজ্যের অন্দরে শব্দদূষণ করা যাবে না কিছুতেই। এই নির্দেশকেই, ‘ঝাড়খণ্ডে তালিবানি শাসন চলছে’ ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এক বিজেপি বিধায়ক।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক মণীশ জয়সওয়াল দাবি তোলেন হাজারিবাগে রামনবমীর মিছিলে ডিজে বাজানোর অনুমতি দেওয়া হোক। কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে গিয়ে ওই বিজেপি বিধায়ক ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি তুলতে তুলতে নিজের পরনের কুর্তাটিও ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর দাবি, ‘ঝাড়খণ্ডে তালিবানি শাসন চলছে’। তিনি জানান, রামনবমীতে ডিজে বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার বিরুদ্ধে হাজারিবাগে পাঁচ জন ব্যক্তি আমরণ অনশনে বসেছেন। অনেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে পুলিশ। কিন্তু রামনবমী উপলক্ষে যদি ডিজে বাজানো হয়, তাহলে কী এমন ক্ষতি হবে? প্রশ্ন তোলেন মণীশ জয়সওয়াল। ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে ১০৪ বছরের ঐতিহ্য ভাঙার অভিযোগ তোলেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডের শাসকদল কিছুতেই ডিজে বাজানোর অনুমতি দিতে সম্মত নয়। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী মিথিলেশ ঠাকুরের অভিযোগ, রামনবমীতে ডিজে বাজানোর দাবি নিয়ে যাঁরা অনশন করছেন তাঁরা প্রত্যেকে বিজেপি কর্মী। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ডেসিবেল মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ডিজের অনুমতি দিলে তা ভাঙবে। আমরা সমস্ত ধর্ম এবং সম্প্রদায়কে সম্মান করি। আমরা রামের প্রকৃত ভক্ত।’
অপরদিকে, এই অশান্তির মধ্যে বিধানসভার ওয়েলে নেমে কংগ্রেস বিধায়ক দীপিকা পাণ্ডে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়করা তাঁকে ‘নগরবধূ’ বলে অপমান করেছেন। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি দেব-দেবীতে আস্থাশীল নয়। তারা চায় নগরবধূ। ওরা হিন্দুও নয়। হিন্দুর নাম নিয়ে নাটক করে।’
আরও পড়ুন-
আরও একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করতে চলেছে ভারত, কাজ শুরু হবে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে
শুরু হল ১ বছরের যাত্রা, মারাঠি শাড়ি পরে মুম্বই থেকে ১ লক্ষ কিলোমিটার পথ বাইক-ভ্রমণে বেরিয়ে পড়লেন ২৭ বছরের রামিলা