লোকসভায় তিন তালাক বিলে নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদে থাকা রমা দেবীর উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল লোকসভা। কেউ কেউ দাবি করেছিলেন তাঁকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে, অনেকে আবার তাঁকে লোকসভা থেকে অপসারণের দাবিও তেলেন। যদিও ক্ষমা চাইতে রাজি হননি আজম খান। তাঁর দাবি ছিল, তিনি যদি অসংসদীয় কোনও মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তার জন্য ইস্তফা দিতে প্রস্তুত তিনি।
এই ঘটনার পর স্বয়ং রমা দেবী নিজেই জানান, কোনও মূল্যেই আজম খানকে ক্ষমা করবেন না তিনি, এমনকী তিনি যদি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চানও তাহলেও তাঁকে ক্ষমা করা হবে না বলে জানান তিনি। আর এই চাপান-উতোরের পরই আজম খানের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিহারের নেতা জিতন রাম মাঝি। এদিন তিনি বলেন আজম খানের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত কিন্তু পদত্যাগের কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন তিনি।
এদিন আজম খানের মন্তব্যের সপক্ষে বেশকিছু উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, ভাই বোনের যদি একে অপরের সঙ্গে দেখা হয় এবং তাঁরা যদি একে অপরকে চুম্বন করেন তাহলে কি তা যৌনতা? মা ছেলেকে যদি চুম্বন করেন তাহলে কি যৌনতা বলে মনে করা হবে, বলে প্রশ্ন করেন তিনি।
যদিও আজম খানের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, এর আগেও ওই সাংসদ এইরকম আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তবে এবার শালীনতার সব সীমা তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ক্ষমা না চেয়েই আজম খানের দাবি,তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এদিন নিদের মন্তব্যের পক্ষে তিনি জানান, তাঁর একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন রয়েছে,তাঁর পক্ষে খারাপ কিছু মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তিনি যা বলেছেন তাতে যদি একটিও অগণতান্ত্রিক শব্দ থাকে, তাহলে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।