শুক্রবারই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরারাপ্পা। কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের পতনের তিনদিন পরই মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন তিনি। ইয়েদুরাপ্পা সরকারের আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন আগে অর্থাৎ রবিবার ১১ জন কংগ্রেস এবং ৩ জন জেডিএস-এর সদস্য মিলিয়ে মোট ১৪ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দেন কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। যার ফলে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়েছেে কর্ণাটে। এঁরা সকলেই বিজেপি-র সংস্পর্শে থাকা কংগ্রেস ও জেডিএস ছেড়ে বের হওয়া বিধায়ক।
কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে প্রয়োজন ১১৩ জন। কিন্তু মোট ১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করায় বর্তমানে বিধানসভার সদস্য সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২০৮-এ। আর বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠাতার জন্য ১০৫ জনের সমর্থন প্রয়োজন হবে। আর বিজেপির নিজেরই শক্তি এই মুহূর্তে ১০৫। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে তিনি ১০০ শতাংশই নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর আস্থাভোটের সময়ে সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিধানসভায় যোগ দিতে বাধ্য করা যাবে না। সুপ্রিতমকোর্ট আরও জানায় যে, স্পিকারের অধিকার রয়েছে ওই বিধায়কদের বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আর এরপরই ১৭ জন বিধায়কের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার।
খবর ছিল, বিদ্রোহী বিধায়কদের ব্য়াপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে দল। তবে ইয়েদুপরাপ্পা সরকারের আস্থাভোটের একিদন আগেই স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে ফের একবার জমে উঠেছে কর্ণাটক বিধানসভা দখলের খেলাটা। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাও নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।