কমলনাথ পাঁকে পড়তেই নড়ে বসলেন অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশ নিয়ে জোর রাজনৈতিক তৎপড়তা

আরও এক রাজনৈতিক থ্রিলারের দেখতে চলেছে ভারত

মধ্যপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি ও কং দুই শিবিরেই জোর রাজনৈতিক তৎপড়তা

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ উনিশ কংগ্রেস বিধায়ক আপাতত বেঙ্গালুরুতে

তাদের যত্নআত্তি করছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক

 

amartya lahiri | Published : Mar 9, 2020 5:50 PM IST

গত বছর ভারত কর্নাটক দেখেছে, মহারাষ্ট্র দেখেছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন য়ে থ্রিলার গল্প-সিনেমাকেও হারিয়ে দিতে পারে ওই দুই রাজ্যের সরকার গঠন নিয়ে উত্তেজনাতেই বোঝা গিয়েছিল। এবার সেই একই দিকে এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশ। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ উনিশ জন কংগ্রেস বিধায়ক সোমবার বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছেন। কর্ণাটক বিজেপি সূত্রে খবর ছয় মন্ত্রীসহ এই ১৯ জন কং বিধায়কের যত্নআত্তির দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি-র মহাদেবপুরের বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাবালি।

এই ঘটনার পরই কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলেই বেড়েছে রাজনৈতিক তৎপড়তা। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নেমে পড়েছেন জাহাজ বাঁচাতে। আর দিল্লিতে অমিত শাহ-ও আরও একটি রাজ্য জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন। কমলনাথ এদিন রাতেই তাঁর বাসভবনে রাজ্য মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক ডেকেছেন। দিল্লি সফরে কাটছাঁট করে তিনি এদিন তড়িঘড়ি ভোপালে ফিরে এসে সন্ধ্যাবেলা তাঁর বাসভবনে প্রথমে কয়েজন ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা সেই বৈঠক শেষে ফের রাত দশটা নাগাদ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেছেন তিনি। এরপর তাঁর দিক থেকে বড় কোনও ঘোষণা আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ মার্চ কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় দলই তাদের বিধায়কদের বৈঠকে ডেকেছে। বোঝাই যাচ্ছে দুই দলই প্রচ্ছন্নভাবে তাদের শক্তির পরিচয় দিয়ে রাখতে চাইছে। কংগ্রেস-এর বৈঠকটি হবে দুপুর বারোটায়, আর বিজেপি-র সন্ধ্যা ছটায়।

কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিরও একেবারে নিরুদ্বেগে নেই। বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠি গত সপ্তাহেই কমলনাথের বাসভবনে গিয়েছিলেন। তিনি এবং আরেক বিধায়ক শরদ কোল ৩ মার্চ বিজেপির দলীয় বৈঠকেও যোগ দেননি। গত বছর জুলাই মাসেই রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস-এর আনা একটি বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এই দুই বিজেপি বিধায়ক।

 

Share this article
click me!