CBIC Raid: বাড়ি ঠাসা রয়েছে কোটি কোটি টাকা, আলমারি খুলে চোখ কপালে উঠল তদন্তকারীদের

সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ট কাস্টমসের তরফ থেকে জানান হয়েছে কানপুরের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন (Piyush Jain) মূলত সুগন্ধি শিল্পের অংশীদার ছিল।

রাশি রাশি টাকা লোকানো ছিল বাড়িতে। কানপুরের এক ব্যবসায়ী (Kanpur Businessman) বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস কাস্টমস (CBIC) এর চেয়ারম্যান বিবেক জোহরি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কানপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। সিবিআইসি-র ইতিহাসে এটি সবথেকে বড় হানা বলেও দাবি করেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ট কাস্টমসের তরফ থেকে জানান হয়েছে কানপুরের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন (Piyush Jain) মূলত সুগন্ধি শিল্পের অংশীদার ছিল। অভিযান চলাকালীন সংস্থার পক্ষ থেকে একটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছিল। তসেই ভিডিও গ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে পীযূষ জৈনের বাড়ির দুটি আলমারি ঠাসা রয়েছে তাড়া তাড়া নোটে। নোটের বান্ডিলগুলি কাগজ দিয়ে মোড়া রয়েছে। হলুদ টেপ দিয়ে সুরক্ষিত করা ছিল। তিরিশটিরএ বেশি এজাতীয় বান্ডিলের ছবি  দেখা গেছে ভিডিওটিতে। 

Latest Videos

এজেন্সির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা গেছে সিবিআইসি, আয়কর দফতর ও গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটটের কর্মকর্তারা মাটিতে বসে রয়েছেন। তাদের পাশে নোটের বান্ডিল ছড়ানো রয়েছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান শেষ হয়েনি। তার আগেই প্রায় ১৫০ কোটি টাকা নগদ অবস্থায় উদ্ধার রয়েছে। সূত্রের খবর সংস্থার আধিকারিকরা তিন থেকে চারটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে গেছেন জৈনের বাড়িতে। 

শুধু কানপুর নয় করফাঁকির অভিযোগে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, মুম্বইয়ের একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালান হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের কানপুরে মেসার্ন ত্রিমূর্তি ফ্র্যাগ্রেন্সের মালিকানাধীন একটি কারখানা হানা দেয় সরকারি আধিকারিকরা। এখানে শিখর ব্র্যান্ডের পানমশলা ও অন্যান্য সুগন্ধীসহ তামাকজাত পণ্যও তৈরি হয়। 


প্রথমে কানপুরের একটি পণ্য পরিবহন সংস্থা মেসার্স গণপতি রোড ক্যারিয়ারের মালিকানাধীন অফিস ও গোডাউনগুলিতে একটি অভিযান চালান হয়েছিল।  যার পর তল্লাশি চালান হয় পীযূষ জৈনের কারখানা ও বাড়িতে। জিএসটি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এদিন তল্লাশি অভিযানে সামিল হয়েছিল। তাতেই উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কারখানা ও বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় এই নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। স্ট্যেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা সংস্থাগুলিকে নগদ টাকা গুণতে সাহায্য করছে। এখনও পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও আশা করেছে তদন্তকারীরা। 

জিএসটি আধিকারিকরা জানিয়েছেন সংস্থাটি জাল চালানের মাধ্যমে ও ই-ওয়ে বিল ছাড়াই পণ্য পরিবহণ করত।  কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য একাধিক প্রতিষ্ঠানও তৈরি করা হয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ওটা আমার জায়গা, ওকে আবার হারাব' তাপসীকে চরম বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Tapasi Mondal
‘Mamata Banerjee-কে Bhabanipur-এ হারাবো, ৫ বছর যন্ত্রণা বইবেন!’ মমতাকে কটাক্ষ Suvendu Adhikari-র
Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম না হলে Mamata Banerjee জীবনেও মুখ্যমন্ত্রী হতেন না, ওঁকে চেনে কে!’
'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বেইমান মমতা' বিস্ফোরক শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Mamata Banerjee |
'ঠুসে দেব' শুভেন্দুকে পাল্টা মারের হুমকি TMC MLA হুমায়ূন কবীরের | Suvendu Adhikari | Humayun Kabir