কানপুরের চৌবেপুর থানার ডিক্রু গ্রামে গত শুক্রবার ভোরে গ্যাংস্টর ধরতে গিয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার সব ৮ পুলিশকর্মীর মৃত্যু নিয়ে এখনও সরগরম গোটা উত্তরপ্রদেশ। পুলিশের এই অভিযানের কথা কানপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশ দুবের কাছে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছিল। এবার এই মামলার তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যে তার বাড়িতে হানা দিতে আসতে তা নাকি আগেই জানত গ্যাংস্টার বিকাশ। আর তাকে এই অভিযানের কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিল এক পুলিশ আধিকারিক। শুক্রবার ডিক্কু গ্রামে এই এনকাউন্টারে প্রাণ হারান ডিএসপি দেবেন্দ্র কুমার মিশ্রের লেখা চিঠি থেকে এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র কুমারের লেখা একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে। প্রায় ৩ মাস আগে তিনি এই চিঠি লেখেন বলে জানা যআচ্ছে। যেখানে চৌবেপুর থানার ইনচার্জ বিনয় তিওয়ারিকে নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন দেবেন্দ্র। লেখেন, বিনয় তিওয়ারি রীতিমত সাহায্য করছে বিকাশ দুবেকে। এই ঘটনা সামনে আসতেই গত শনিবার বিনয় তিওয়ারিকে সাসপেন্ড করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এবার বিনয়ের সহযোগী আরও ৩ পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হল।
এদিকে ঘটনার পর ৯৬ ঘণ্টা পরা হয়ে গেলেও কানপুরের ত্রাস বিকাশ দুবে এখনও অধরা। তার সন্ধান পেতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আর সেই পুরস্কারের মূল্য প্রতিদিনই বাড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রবিবার জানানো হয়েছিল, বিকাশের হদিশ যে দিতে পারবে তাঁকে দেওয়া হবে ১ লক্ষ টারা। কিন্তু সেই ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মাথার দাম বাড়ল বিকাশের। সোমবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসন ঘোষণা করে, গ্যাংস্টারের হদিশ দিতে পারলে দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা।
তবে বিকাশের খোঁজ না মিললেও তার পুত্রবধূ চমা, পরিচারিকা রেখা অগ্নিহোত্রী এবং এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ৩ জুলাই অভিযান চলার সময় পুলিশ দলের গতিবিধি নিয়ে এরাই বিকাশ ও তার দলবলকে শেষমুহুর্তে তথ্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া রেখা বিকাশের সহযোগী দয়াশংকর অগ্নিহোত্রীর স্ত্রী। কানপুর এনকাউন্টারের পর কল্যাণপুর থেকে দয়াংশকরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায় পুলিশের এই গোপন অভিযানের ব্যাপারে চৌবেপুর থানা থেকে তাদের আগেই জানান হয়েছিল। আর তাই পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই গোটা এলাকা অন্ধাকার করে দেয় বিকাশ।