ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ, গরম তরকারি ছুঁড়ে মারাল ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা

যাজক অক্ষয় কুমার করঙ্গাভি তাঁর বাসভবনে প্রার্থনার আয়োজন করেছিলেন। সেই সময়ই ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়ছ বাড়িতে ঢুকেই ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ধর্মসভা বাতিল করার নিদান দেয়।

Asianet News Bangla | Published : Jan 2, 2022 5:43 PM IST / Updated: Jan 03 2022, 12:08 AM IST

ধর্মান্তকরণ (conversions) ইস্যুতে উত্তপ্ত কর্নাটক (Karnataka)।  বেলগাভি জেলায় একটি পরিবারকে ডানপন্থী (Right Wing) সংগঠনের সদস্যরা মারধর করে গায়ে গরম তরকারি ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পরিবারের সদস্যরা জোর করে প্রতিবেশীদের ধর্মান্তরিত করাচ্ছিল। ডানপন্থীদের হামলার সংশ্লিষ্ট পরিবারের এক মহিলাসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মুদালাগি শহরের একটি সরকারি হাসপাতালে ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। 

যাজক অক্ষয় কুমার করঙ্গাভি তাঁর বাসভবনে প্রার্থনার আয়োজন করেছিলেন। সেই সময়ই ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়ছ বাড়িতে ঢুকেই ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ধর্মসভা বাতিল করার নিদান দেয়। কিন্তু যাজক তাতে রাজি না হওয়ায় হামলা চালায় হয় পরিবারের সদস্যদের ওপর । যদিও ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যদের দাবি যাজক পরিবারে ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের জোর করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার আয়োজন করেছিল। তাই তারা অনুষ্ঠানে বাধা দিয়েছে। 

যাজকের পত্নী জানিয়েছে, তাদের গায়ে ইচ্ছেকৃতভাবে গরম তরকারি ছুঁড়ে দেওয়া হয়ে। বাড়ির একাধিক মহিলা সদস্যের শ্লীলতাহানি করা হয়। অনুষ্ঠানে কোনও ধর্মান্তকরণ করা হয়নি বলেও দাবি করে তিনি জানিয়েছেন প্রার্থনাটি বার্ষিক ক্রিসমাস উদযাপনের অংশ ছিল। 

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর অভিযুক্ত আক্রমণকারীদের মধ্যে সাত জনের বিরুদ্ধে তপশিলি জাতি ও উপজাতী আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কিছু ধারায় মামলায় দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তরা হল শিবানন্দ গোটুর, রমেশ দণ্ডপুর, পারসাপ্পা বাবু,, ফকিরাপ্পা বাগেওয়াড়ি ও তুক্কানাট্টি গ্রামের কৃষ্ণ কানিতকার, কঙ্কনওয়াড়ির চেতন গদাদি, হাত্তারাকির মহন্তেশ হাত্তারাকি।

সম্প্রতি এই দেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বড়দিনের অনুষ্ঠানের সময়ও যীশুর মুর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছে। বেশ কিছু জায়গায় বড়দিনের অনুষ্ঠান পালনেও বাধা দেওয়া হয়েছে।  খ্রিস্টানদের বেশি কিছু অনুষ্ঠানকেও টার্গেট করা হয়েচে। অথচ এই দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রতি এজাতীয় হামলা উদ্বেগ দেখছে দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। ঘটনার প্রতীকার চেয়ে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আবেদন জানান হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের রাজনৈতিক মহলও। তবে এজাতীয় ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে বলে আতঙ্ক বাড়ছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। 

 

Share this article
click me!