এসআইটি এর আগে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছিল, যার মধ্যে এই দুজন ছিল। রিপোর্ট অনুসারে, তারা প্রায় দুই মাস ধরে পুলিশের কাছ থেকে লুকিয়ে ছিল বলে অভিযোগ।
লখিমপুর খেরি মামলার (Lakhimpur Kheri Case) তদন্তে এবার দুই কৃষককে গ্রেফতার করল বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team) বা SIT। গত বছর তেসরা অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে শুরু হওয়া হিংসাত্মক ঘটনার সময় তিনজন বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এই দুই কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআইটি সূত্রে জানা গেছে, দুই কৃষকের নাম কমলজিৎ সিং (২৯) এবং কাওয়ালজিৎ সিং সোনু (৩৫)।
এসআইটি এর আগে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছিল, যার মধ্যে এই দুজন ছিল। রিপোর্ট অনুসারে, তারা প্রায় দুই মাস ধরে পুলিশের কাছ থেকে লুকিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। দুজনকে এরপরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হবে এবং তদন্তকারী আধিকারিকরা তাদের রিমান্ডের জন্য আবেদন জানাবেন বলে খবর।
তিনজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জন কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। SIT এর আগে বিচিত্রা সিং, গুরবিন্দর সিং, অবতার সিং এবং রঞ্জিত সিংকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করার পরে গ্রেফতার করেছিল।
বিজেপি কর্মী সুমিত জয়সওয়াল, যিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রের সহ-অভিযুক্ত, তিনি একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। সুমিতের দায়ের করা এফআইআর-এ পাঁচজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়নি, যাদেরকে আশিসের কনভয় দ্বারা ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
গত বছর নভেম্বরে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এসআইটি পুনর্গঠন করে। এই দলে যোগ দেন নতুন সদস্য। দলে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক রাকেশ কুমার জৈনের সঙ্গে যোগ দেন আইপিএস অফিসার এস.বি শিরদকর, প্রীতিন্দর সিং এবং পদ্মজা চৌহান। এদিকে কিছুদিন আগেই এসআইটি জানায়, লখিমপুর খেরিতে যে ঘটনা গোটা দেশকে নড়িয়ে দিয়েছিল, তা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।
রিপোর্টে এমনই তথ্য দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। এই ঘটনা নেগলিজেন্স বা অবহেলার কোনও ঘটনা নয় বলেও এদিন রিপোর্টে জানায় সিট। এছাড়াও ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নতুন ধারা দাখিল করার জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি আবেদন জানানো হয়েছে সিটের পক্ষ থেকে, যাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য হয়।
SIT তদন্তকারী আধিকারিক বিদ্যারাম দিবাকর সিজেএম-এর আদালতে আইপিসির ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪এ ধারার বদলে ওয়ারেন্টে নতুন ধারা যোগ করার আবেদন করেন। তার আবেদনে, তদন্তকারী আধিকারিক উল্লেখ করেন যে ঘটনাটি "সুপরিকল্পিত এবং একটি ইচ্ছাকৃত অপরাধ"।