Karnataka Elections 2023: কর্ণাটকে বিজেপিকে ঠেকাতে জেডিএসের পাশে তৃণমূল-সিপিএম

Published : Apr 26, 2023, 01:58 PM ISTUpdated : Apr 30, 2023, 10:33 AM IST
Mamata banerjee  hd Kumaraswamy

সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা চলছে।

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে জেডিএসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি ও সিপিএম। জেডিএস প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও প্রচারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারে জেডিএস। কারণ, ইতিমধ্যেই সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে এইচ ডি দেবেগৌড়া, এইচ ডি কুমারস্বামীর দল। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে ৩টি আসন ছেড়েছে জেডিএস। সেই কারণেই ভোট প্রচারে বিজয়নকে ডাকার কথা ভাবছে জেডিএস। ফলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরোধিতা থাকলেও, কর্ণাটকে বিজেপি-বিরোধিতায় একজোট এই দুই পরস্পর-বিরোধী রাজনৈতিক দল।

তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে কুমারস্বামীর। তিনি মমতার সঙ্গে দেখা করতে কলকাতাতেও এসেছেন। মমতা তাঁকে আশ্বাস দেন, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জেডিএসের পাশে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, আগামী সপ্তাহেই কর্ণাটকে প্রচারে যেতে পারেন মমতা। 

কর্ণাটক অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, সেখানে প্রচারে যেতে পারেন কেসিআর। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। চিকাবালাপুর ও কোলার জেলা, রায়চুর, ইয়াড়গিরিতে প্রচারে যেতে পারেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ ফের শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন কেসিআর। তাঁর সঙ্গে দেবেগৌড়ার আলোচনা হয়েছে। এই ফ্রন্টে তৃণমূল কংগ্রেসও থাকছে।

কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের যাবতীয় বিষয় পরিচালনার জন্য ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেডিএস। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে জেডিএসে যোগ দেওয়া সিএম ধনঞ্জয়কে।

কর্ণাটকে এবারের ভোটে কোন দল বা জোট এগিয়ে, সেটা এখনও খুব একটা স্পষ্ট নয়। শাসক দল বিজেপির এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, জোর টক্কর দিতে পারে জেডিএস। সেই কারণেই বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন কুমারস্বামী। কর্ণাটকে, বিশেষ করে বেঙ্গালুরুতে কর্মসূত্রে অনেক বাঙালি থাকেন। সে কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা প্রচারে যাচ্ছেন। পাল্টা মমতাকে প্রচারে চাইছে জেডিএস। সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়ায় কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রচারে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে জেডিএস। ৮ মে প্রচারের শেষ দিন। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই কর্ণাটকে যেতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো, কেসিআর ও বিজয়ন।

আরও পড়ুন-

দেখতেই পুষ্পবৃষ্টি! কেরলে স্থানীয় পোশাকে পায়ে হেঁটে রোড শো প্রধানমন্ত্রী মোদীর

আগে অমিত শাহ, পরে নরেন্দ্র মোদীর সভা- মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ফোকাস করার কারণ কী- রিপোর্ট

কেরলে উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রীকে, স্থানীয় পোশাকে পায়ে হেঁটে রোড-শো মোদীর

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
AI প্রযুক্তির উন্নতিতে জোর, ভারতকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব মাইক্রোসফট সিইও-র