পুলিশ অফিসার-এর ফোনে যৌনতার প্রস্তাবের বন্যা, তদন্তে বের হল এক ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি

পুলিশ অফিসারের ফোনে একের পর এক কুপ্রস্তাব

তাঁর মনে হয়েছিল যেন তিনি কোনও যৌনকর্মী

তদন্তে জানা গেল পিছনে রয়েছে এক ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি

গ্রেফতার করা হল তাঁর পরিচিত এক স্কুল মাস্টার-কে

 

Asianet News Bangla | Published : Dec 25, 2020 12:04 PM IST / Updated: Dec 25 2020, 05:38 PM IST

মহা সমস্যায় পড়েছিলেন কর্ণাটকের এক মহিলা পুলিশ অফিসার। একের পর একে ফোন আসছে। সকলেরই চাহিদা যৌনতা। যেন তিনি কোনও পুলিশ অফিসার নন, একজন যৌনকর্মী। কুপ্রস্তাবের বন্যা, জঘন্য ভাষা ও ব্যবহারে অতীষ্ট হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবন। শেষে তদন্তে জানা গেল, এর পিছনে রয়েছে এক ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি। এক স্কুল মাস্টারের কদর্য প্রতিশোধ।

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৭ সালে। একটি হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপে ওই মহিলা অফিসারকে যোগ করেছিলেন তাঁর  এক প্রাক্তন সহপাঠী। সেই গ্রুপেই ছিলেন চিক্কামাগালুরু জেলার কদুরের বাসিন্দা সতীশ সিএম। মহিলা জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সতীশ তাঁকে নিয়মিত টেক্সট মেসেজ পাঠাতেন, কখনও কখনও ওই পুলিশ অফিসারকে ফোনও করতেন। তাঁর সেই গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব, ওই মহিলা অফিসার পাত্তাও দেননি। তাতে খুবই রেগে গিয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষক সতীশ। এমনকী তিনি দুইবার ওই মহিলাকে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়েও দিয়েছিলেন। অন্যান্য বন্ধুরা তাঁকে ফের যুক্ত করার পরও, সতীশ আবার একই কাজ করেছিলেন।

এই নিয়ে ওই স্কুল শিক্ষক ও মহিলা পুলিশ অফিসারের মধ্যে কয়েক দফা জোর তর্ক-বিতর্কও হয়েছিল। বিষয়টি ওই অবধিই ছিল। কিন্তু, মহিলা পুলিশ অফিসারকে বাগে আনতে না পেরে, প্রতিশোধ নিতে সতীশ এরপর কদুর বাসস্ট্যান্ডের পুরুষ শৌচাগারের দেওয়ালে ওই মহিলা পুলিশ অফিসারের ফোন নম্বর লিখে দিয়েছিল। গণশৌচাগারের দেওয়াল থেকেই বিভিন্ন মানুষ ওই পুলিশ অফিসারকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করেছিল।

চলতি সপ্তাহের সোমবার, পুলিশ সতীশকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে হেনস্থা করা, এবং মহিলাদের মর্যাদার অবমাননা করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত বছরও প্রায় একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। সেই ক্ষেত্রে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন একটি পুরুষ পুলিশ অফিসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন থানায় অন্য এক বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই ওই অফিসার তাঁকে অশ্লীল বার্তা পাঠাতো এবং 'সুইটহার্ট' বলে ডাকতে শুরু করেছিল।

 

Share this article
click me!