লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ প্রকাশ্যে তাদের জারি করা এক বিবৃতিতে জানায় যে উপত্যকায় হিন্দু হত্যা জারি থাকবে । কাশ্মীরিদের উপর ফ্যাসিবাদী হিন্দুত্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদেই এমন সিধান্ত টিআরএফ এর
কাশ্মীরে হিন্দু হত্যা জারি থাকবে। এমন ভয়ঙ্কর হুমকির কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করলো লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। ঘটণার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উপত্যকার হিন্দুরা যারপরনায় ভীত। বিগত তিন দশক আগে যে নিপীড়ন শুরু হয়েছিল যা জারি থাকবে এখনও। কাশ্মীরের হিন্দুদের এমন খোলাখুলি হুমকি দেওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত কোনো তৎপরতা নেওয়া হয়নি প্রশাসন কর্তৃক।
টিআরএফ ইতিমধ্যেই জারি করেছে কাশ্মীরি হিন্দুদের একটি তালিকা। তাদের দাবি কাশ্মীরে হিন্দুরা কাশ্মীরের জমি ও চাকরি কেড়ে নিচ্ছে উপত্যাকার মূল অধিবাসীদের থেকে তাই এমন প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি জারি করলো টিআরএফ কাশ্মীরি হিন্দুদের বিরুদ্ধে। সংগঠন কর্তৃক এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে দিল্লি কাশ্মীর এবং কাশ্মীরিদের উপর ফ্যাসিবাদী হিন্দুত্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দিচ্ছে এটি তারা কিছুতেই হতে দেবে না। তাই এই কট্টর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তারা কাশ্মীরে হিন্দু হত্যা জারি রাখবে। এতে উপত্যাকার পরিবেশ নষ্ট হলেও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছেন কাশ্মীরি হিন্দুরা। উপত্যকার এক হিন্দু বাসিন্দা রঞ্জন জ্যোতিষ সংবাদমাধ্যমিকে জানিয়েছে যে ,' এই ধরণের চিঠি আমাদের ভয়কে আরও দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।' ১৯৯০ সালে এইরকম পরিস্থিতি প্রথম তৈরী হয়েছিল উপত্যকায় কিন্তু তখনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ ছিল। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাতে মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ।কিন্তু তাতেই সরকার নির্বিকার। যদিও জানা গেছে যে হুমকির পর থেকেই উপত্যকার জনবহুল এলাকাগুলোয় কড়া পুলিসি টহলদারি শুরু হয়েছে এবং এবিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে কাশ্মীর পুলিশ।