কেরলে নরবলি- যা গোটা দেশকে অবাক করেছিল। কারণ মধ্যযুগীয় বর্বরতা কেরলের মত সুশিক্ষিত রাজ্যে হতে পারে তা ভাবতেও পারেনি সুশীল সমাজ। কিন্তু তদন্তে নেমে রীতিমত ভয়াবহ তথ্য হাতে পেয়েছে কেরল পুলিশ। কারণ পুলিশের দাবি এটাই প্রথম নরবলি ছিল না কেরলেন দম্পতির কাছে। তারা এর আগেও নরবলি দিয়েছিল।
কেরলে নরবলি- যা গোটা দেশকে অবাক করেছিল। কারণ মধ্যযুগীয় বর্বরতা কেরলের মত সুশিক্ষিত রাজ্যে হতে পারে তা ভাবতেও পারেনি সুশীল সমাজ। কিন্তু তদন্তে নেমে রীতিমত ভয়াবহ তথ্য হাতে পেয়েছে কেরল পুলিশ। কারণ পুলিশের দাবি এটাই প্রথম নরবলি ছিল না কেরলেন দম্পতির কাছে। তারা এর আগেও নরবলি দিয়েছিল। কেরলেন এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম নরবলি কাজ করেনি। আর সেই কারণেই দ্বিতীয়বার নরবলি দেওয়ার পমত পৈশাচিক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন দম্পতি।
নরবলি ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ শফি, অন্যদুই অযভিযুক্ত ভগবাল সিং ও তাঁর স্ত্রী লায়লাকে বুঝিয়েছিলেন যে প্রথম বলিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, আচার বা রীতি মানা হয়নি। আর সেই জন্যই তারা প্রথম বলিদেওয়ার পরেও বড়লোক বা বৃত্তশালী হয়নি। তাই দ্বিতীয় বলি দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। শফির কথায় রাজি হয়ে দম্পতি দ্বিতীয়বাার নরবলি দেয়।
এখানেই শেষ নয়, বলি দেওয়ার পর অভিযুক্তরা মৃতদেহ বিকৃত করত। তারা দেহগুলিকে টুকরো টুকরো করে কেটে তারপর সেটিকে মাটিতে পুঁতে দিত। কোচির পুলিশ অফিসার এইচ নাগারাজু বলেছেন, মৃত মানুষের মাংস অভিযুক্তরা খেত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ অনেকেই নরখাদকের তত্ত্ব খাড়া করছে। স্থানীয়দের কথায় তন্ত্রসাধনায় দম্পতি বড়লোক হতে চেয়েছিল তাই নরবলি। আর তারা সুখ আর সমৃদ্ধি পেতে চেয়েছিল। সেইজন্যই মৃত মানুষের মাংস প্রসাদ হিসেবে ভক্ষণ করতে পারে বলেও অনেকে অনুমান করছে। যাইহোক এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে তিন অভিযুক্তের আচরণ স্বাভাবিক মনে করছে না পুলিশ। কারণ ৭৫ বছরের এক মহিলাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। তারপর তাঁকে হত্যা করা হয়। এই মহিলাকে দুই বছর আগে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। পুলিশ তিন অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কেরলের কোচিতে দুই মহিলাকে নরবলি দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্য়ে এল। জানা গিয়েছে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি এরনাকুলাম জেলার থিরুভাল্লা। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে কোনও পুজোর অঙ্গ হিসাবে কিছু আচার বিধি পালন করা হচ্ছিল। সেখানেই এই দুই মহিলাকে বলি দেওয়া হয়েছে। দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্য কেরল। আজ থেকে নয় ইউনেস্কোর বিচারেও এর জন্য বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হয়েছে কেরল। তাদের শিক্ষার হার নিয়ে বরাবারই নানা কাহিনি চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে। সেই রাজ্যে নরবলির মতো নৃশংস ঘটনা কেরলের শিক্ষিত মানসিকতার উপরে এক কড়া থাপ্পড় বলেই মনে করা হচ্ছে।
কী কারণে এই বলি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি প্রশাসন। তবে কেরল পুলিশ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করেছে দম্পতির এজেন্টের কাজ করে এমন এক ব্যক্তিকে। এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে পেরুমবাভুর থেকে। সূত্রের খবর কালাদি ও কাদাভান্তারা থেকে বলি দেওয়ার জন্যই দুই মহিলাকে পাচার করে এনেছিল এজেন্ট। বর্তমানে তিন জনই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। জানা গিয়েছে তিরুভাল্লা-ভিত্তিক বৈদ্য ভাগবত ও তাঁর স্ত্রী লীলা এজেন্ট শিহাবকে পুরুমবাভুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর দম্পতি শান্তি আর সম্পদের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই তন্ত্র সাধনা করছিল। আর সেই কারণেই দুই মহিলাকে বলি দিয়েছি শান্তি আর সম্পদ লাভের জন্য।
কদাভান্তরায় নিখোঁজ মহিলার তদন্তে তিরুভাল্লায় পুলিশ যায়। সেখানেই উদ্ধার হয় দুই মহিলার দেহ। দুই মহিলার দেহ মাটিতে পোঁতা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কেরলেই এই ঘটনায় রীতিমত হতাশ রাজ্যের সুশীল সমাজ।