কেরলের চোরাই সোনার টাকা কি যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে, ইউএপিএ ধারায় মামলা চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে

কেরলের সোনা পাচারের টাকা কি যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে

জাতীয় তদন্ত সংস্থা সেই রকমই মনে করছে

চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়েছে

এই চারজনকে জেরা করে রাঘব বোয়ালদের ধরার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা

amartya lahiri | Published : Jul 12, 2020 12:32 PM IST / Updated: Jul 13 2020, 08:25 PM IST

কেরলের সোনা পাচারের ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকতে পারে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের। জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্তে এরকমই গুরুতর তথ্য উঠে আসছে। এনআইএ-র অফিসাররা বলছেন, গত রবিবার তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যে ২৪ ক্যারেটের ৩০ কেজি চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গত কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্য়ের দেশগুলি থেকে প্রায় কয়েকশো টন চোরাপথে এসেছে কেরলে। আর এই বিপুল সোনার টাকা যায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে।

এনআইএ-র দাবি, এই এত বড় কার্যক্রমের পিছনে নিশ্চিতভাবে একটি বড় মাপের আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্র কাজ করছে। যাদের দেশে ও বিদেশে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেসংযোগ রয়েছে। রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলার মূল সন্দেহভাজন স্বপ্না সুরেশ, ও সন্দীপ নায়ার-কে। তাদের জিজ্ডাসাবাদ করে এই আন্তর্জাতিক চক্রের পরের স্তরের রাঘব বোয়ালদের ধরা যাবে, এমনটাই তদন্তকরীদের আশা।

শনিবারই এনআইএ-র পক্ষ থেকে আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশ, ও সন্দীপ নায়ারের সঙ্গে সঙ্গে সারিত ও ফজিল ফরিদ নামে আরও দুই ব্যক্তির নামে ইউএপিএ ধারায় মামলা করেছিল। সারিত ও ফজিল ফরিদ-কে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়। পালিয়েছিল স্বপ্না সুরেশ, ও সন্দীপ নায়ার।

এনআইএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের ঘটনা এই  মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই পরিমাণ অবৈধ সম্পদ দেশে ঢুকলে, দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হারাতে পারেস এবং তা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষেও হুমকির। যা একপ্রকার সন্ত্রাসবাদের সামিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই মামলায় ইউএপিএ-র ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।  

 

Share this article
click me!