মাতৃভূমিতে পা-ই রাখতে পারল না এক বছরের ছেলেটা, প্রথমবার মামাবাড়ি যাওয়াই হল তার শেষ যাত্রা


মাতৃভূমিতে পা-ই রাখতে পারল না আজম মহম্মদ

প্রথমবার মা ও ভাইবোনের সঙ্গে মামার বাড়ি আসছিল

সেই প্রথম যাত্রাই হল তার শেষ যাত্রা

দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার মায়েরও

amartya lahiri | Published : Aug 8, 2020 2:28 PM IST / Updated: Aug 09 2020, 01:51 PM IST

মাতৃভূমিতে পা-ই রাখতে পারল না আজম মহম্মদ। কোজিকোড ভেলিমাড়ুকুন্নু এলাকার নিজাজ মহম্মদ এবং সাহিরা বানুর কোলে প্রায় এক বছর আগে এসেছিল ছোট্ট আজম। বাবা-মা দুবাই-এ থাকে বলে এতদিনেরক মধ্যে দাদু-দিদা বা বাড়ির অন্য কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ের সুযোগ হনি ছেলেটার। শুক্রবার প্রথমবার কেরলে পা রাখার কথা ছিল তার। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত অদৃষ্টের খেয়ালে তা আর হয়নি। কেরলের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ১৮ জনের তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ এক বছরের আজম মহম্মদ-ই।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার মা, ২৯ বছর বয়সী সাহিরা বানু-রও। আজমের আরও দুই বড় ভাইবোন ৮ বছরের ইহান মহম্মদ এবং ৪ বছরের মরিয়ম মহম্মদ-ও এই ঘটনায় জখম। মলপ্পুরম জেলার দুটি পৃথক হাসপাতালে তারা ভর্তি। তবে দুজনেই এখন বিপদ মুক্ত। হতভাগ্য বিমানটি অবতরণের সময় আজম ছিল তার মায়ের কোলে। জানা গিয়েছে শুক্রবার সাহিরা বানু একাই তিন সন্তানকে নিয়ে দুবাই থেকে বিমানে উঠেছিল। তাঁর স্বামী নিজাজ অবশ্য দুবাইতেই থেকে যান।

নিজাজ ও তাঁর পরিবার গত দশ বছর ধরে দুবাই-এই থাকেন। আজমের জন্মের সময় সাহিরার মা সাকিনা দুবাই গিয়েছিলেন। মামাবাড়ির মধ্যে একমাত্র দিদা সাকিনা-ই তাঁকে দেখেছিলেন। তাঁর দাদু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ মাস্টার ও মামাবাড়ির অন্যান্যরা আজমকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।

শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনার পর সাহিরা-কে কোঝিকোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার ভোরে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার আগেই অবশ্য এক বছরের ছোট্ট আজমের মৃত্যু হয়েছিল কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সাহিরার বাড়ির লোক জানিয়েছেন সাহিরা ও আজমের খোঁজ পাওয়া গেলেও, শুক্রবার রাতে  ইহান এবং মরিয়ম-এর কোনও সন্ধান পাচ্ছিলেন না তাঁরা। শনিবার দুপুরে দুটি আলাদা হাসপাতালে তাদের খোঁজ পায় আত্মীয়রা।

Share this article
click me!