এসি থেকে টিভি, কেনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত হলেই ৫০০০০ টাকা ক্যাশব্যাক, কারা দিচ্ছে

পণ্য কেনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হতে হবে করোনা পজিটিভ

তাহলেই ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক-এর সুযোগ

এমনই বলা হয়েছিল বিজ্ঞাপনে

লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুললেন ব্যবসায়ী

 

amartya lahiri | Published : Aug 18, 2020 2:00 PM IST / Updated: Aug 20 2020, 01:42 PM IST

এসি, টিভি, ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন কিংবা ওয়াশিং মেশিন - তাদের দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি কোনও  গ্রাহক করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক মিলবে। লকডাউনে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ রাখার পর গ্রাহক ধরতে এমনই উদ্ভট বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কেরলের কোট্টায়াম জেলার একটি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর বিপণি। আ তার জেরে এখন বিশাল বিতর্কে জড়িয়েছেন সেই দোকানের মালিক।

১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন কয়েক আগেই এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয় ১৫ থেকে ৩০ অগাস্টের মধ্যে, তাঁদের দোকানে কেনাকাটা করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত হলেই ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। তাও আবার জিএসটি ছাড়াই। এই বিজ্ঞাপন শুধু খবরের কাগজে নয়, টেলিভিশনে ও ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছিল।

এরপরই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটির বিষয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে একটি চিঠি লিখেছিলেন কোট্টায়ামের পালা পৌরসভা এলাকার এক কাউন্সিলর বিনু পুলিকাক্কান্দাম। তিনি অভিয়োগ করেছিলেন এই বিজ্ঞাপনটি বেআইনী এবং এর জন্য ওই দোকানের মালিকের শাস্তি হওয়া উচিত। এতে করে কোভিড-১৯ ইতিবাচক ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যের অবস্থা গোপন করতে উৎসাহিত হবেন। স্বাস্থ্যের হাল গোপন করে কেনাকাটা করে পরে নগদ ফেরত পাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ হবেন। আবার অভাবী মানুষ স্রেফ বিপুল অর্থের লোভে ইচ্ছাকৃতভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হতে চাইতে পারেন বলেও অভিযোগপত্রে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেন, ওই ব্যবসায়ী তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়েছেন।

এরপরই কেরল পুলিশ ওই রিটেইল আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে। এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে বিস্তারিত তদন্তও শুরু হয়েছে। সংক্রমণের শুরুর দিকে দক্ষিণের এই রাজ্য সংক্রমণ প্রতিরোধে দারুণ সফল হয়েছিল। বন্দে ভারত মিশনে বাইরের দেশ থেকে নাগরিকরা ফিরতে শুরু করার পরই ধারাবাহিকভাবে কোভিড রকোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত এই রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১,৭২৫ জন, আর করোনা জনিত কারণে মৃত্যুর হয়েছে ১৬৯ জনের।

 

Share this article
click me!