'মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন', শিশু-সহ দম্পতিকে জ্বালিয়ে ফোন করল হত্যাকারী

  • পুড়িয়ে মারা হল এক দম্পতিকে।
  • রক্ষা পেল না এক বছরের শিশুকন্যাও।
  • \ফোন করে তাদের হত্যার কথা জানানো হল পরিবারের লোকজনদের।
  • সন্দেহের তালিকায় রয়েছে ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামী।

 

amartya lahiri | Published : Jan 22, 2020 11:01 AM IST / Updated: Jan 22 2020, 04:41 PM IST

মঙ্গলবার সকালে রিং বাজার পর ফোনটা হাতে নিয়ে মা দেখেছিলেন, তাঁর বিবাহিত মেয়ের নম্বর থেকে ফোন আসছে। কিন্তু ধরতেই তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল। এক অচেনা পুরুষ কন্ঠ ফোনের ওইপাড় থেকে বলে ওঠে, 'আপনার মেয়ে ও তার স্বামী জ্বলছে, এসে দেখে যান, বাঁচাতে পারলে বাঁচান'। একটি এক বছরের শিশুকন্যাসহ দম্পতিকে হত্যার এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল এখন ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলার রায়পুর। ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই, স্থানীয় মানুষ বিশ্বাসই করতে পারছেন না।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মেয়ের নাম ওই মহিলাটির নাম মঞ্জু শর্মা। রবি শর্মা নামে এক কাঠের মিস্ত্রিকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। মঙ্গলবার মঞ্জুপর মায়ের কাছে ওই ফোন আসার পরই তিনি সেই খবর পুলিশকে জানান। পুলিশ দ্রুত ওই বাড়িতে গিয়ে ভিতর থেকে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া তিনটি দেহাবশেষ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন - ফের নারকীয় ঘটনা, অভয়ারণ্যের বাইরেই মিলল মহিলার নগ্ন, অ্যাসিডে পোড়া লাশ

আরও পড়ুন - সম্পর্কে চিড়, বাড়িতে ঢুকে টিএমসিপি নেত্রীর গলায় ছুরি চালাল প্রেমিক

পুলিশ জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে ডোকার সময় বাড়িময় পোড়া মাংসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ছিল। তবে বাড়িটি যে অবস্থায় ছিল, তা দেখে বোঝা গিয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে ওই দম্পতির উপর কেউ বা কারা অমানবিক বর্বরতা চালিয়েছে। বাড়ির দেয়াল ও মেঝেতে রক্ত ​​ছড়িয়ে ছিল। মঞ্জুর ও তাঁর স্বামীর দেহ চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা ছিল। তাদের হাত-পাও আলাদাভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ বেধড়ক মারধরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। আর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। তারপরই তিনটি দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন - চাঁদা না দেওয়ার শাস্তি, বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা বারুইপুরে

আরও পড়ুন - পূন্যস্নান করানোর পরই গর্ভবতী, মুখোশ খুলে গেল আরও এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর

কেন এই দম্পতি ও তাঁদের শিশু সন্তানকে এইভাবে হত্যা করা হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। তবে এর পিছনে প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করেছে বলেই তাঁদের সন্দেহ। জানা গিয়েছে হত্যাকারী বা হত্যাকারীরা, ওই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে বাড়ির দরজায় একটি বার্তাও লিখে রেখে গিয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে ওই মহিলার একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তার জন্য হত্যাকারীর ভাই-কে মরতে হয়। তার বদলা নিতেই এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। তবে এর পিছনে মঞ্জুর প্রাক্তন স্বামীও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ছত্তিশগড় পুলিশ।

 

Share this article
click me!