কিরণ কোন্দলকর দল ছাড়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বলেছেন তাঁর মনে হয়েছে গোয়া নিয়ে অভিষেক বা তৃণমূলের তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে আবারও ভাঙন। এবার প্রশ্ন তুলে দিল সমুদ্রতীরবর্তীর রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরের অস্তিত্ব নিয়ে। কারণ দুই দিন আগেই যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় দলকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছে, সেখানে দল ত্যাহগ করলেন রাজ্যে দলের প্রধান কিরণ কান্দোলকর। এখানেই শেষ নয়, গোয়ায় কংগ্রেসের হারের জন্য তিনি সরাসরি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকেই দায়ি করেছেন।
মাপুসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্দোলকার বলেছিলেন , পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। তারপরই তিনি বোমা পাঠান। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁর কোনও রাগ নেই । কারণ তাঁরা গোয়া নির্বাচনের দায়িত্ব ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আই-প্যাককে দিয়েছিল। তাই নির্বাচনে কেউ যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সে হল আইপ্যাক। তিনি আরও বলেন নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবেও তিনি ব্যর্থ নন।
কিরণ বলেন গোয়াতে প্রথম দিকে আইপ্যাক অনেক রাজনৈতিক কর্যকলাপ নিয়েছিল। প্রচুর ধুমধাম করেছিলেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক কৌশল ছিল না। তিনি আরও বলেন প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছিলেন। তখন পিকে তঁকে বলেছিলেন গোয়ার জন্য অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু থিতিয়ে গিয়েছিল। কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপ ছিল না। তিনি সন্দের প্রকাশ করেন, গোয়াতে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার মূল উদ্দেশ্যই ছিল কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপিকে জেতান।
নির্বাচনের আগে গোয়ার একাধিক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগদান করেছিল। তাতে আদতে দুর্বল হয়েছিল কংগ্রেস। একাধিক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছিলেন তাঁরা প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন কিরণ। তিনি আগে গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দান করেন। বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর গোয়ার আলডোনা আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হেরে যান। তবে তিনি জানিয়েছেন এখন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই।
কিরণ কোন্দলকর দল ছাড়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বলেছেন তাঁর মনে হয়েছে গোয়া নিয়ে অভিষেক বা তৃণমূলের তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন গোয়ায় তৃণমূলকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করেছেন প্রশান্ত কিশোর। আর সেই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়েছেন কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করতে। ভোটভাগাভাগির ভয় দেখিয়ে নির্বাচনের আগে কংগ্রসকে বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গোয়ায় আরও তিন তৃণমূল নেতা তারক আরোলকার, লিও ডায়াস ও সন্দীপ ভাজারকর দল ছেড়েছেন।