ভোট-প্রচারের জের, কলকাতা পুলিশের প্রশ্নের মুখে মিঠুন - জন্মদিনের সকালেই বিপাকে 'গোখরো'

বুধবারই ৭২-এ পা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী

জন্মদিনের সকালটা ভাল গেল না তাঁরা

পড়তে হল কলকাতা পুলিশের প্রশ্নের মুখে

ভোটের প্রচার পর্বে করা বিতর্কিত বক্তব্যের জের

amartya lahiri | Published : Jun 16, 2021 6:16 AM IST

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন চলচ্চিত্র সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। একেবারে প্রথম সভা থেকে নিজেকে জাত গোখরো বলে জাহির করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে সভায়, রোডশো-তে একের পর এক গরম বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। আর বঙ্গ ভোটের প্রচার পর্বে করা বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বুধবার কলকাতা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হল তাঁকে।

বুধবার, ১৬ জুন ৭১ বছর পূর্ণ হল 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট'র। কিন্তু, জন্মদিনের সকালটা মোটেই স্মরণীয় হয়ে থাকল না তাঁর জন্য। গত এপ্রিল-মে মাসে যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে বিজেপির ৪০ জন তারকা প্রচারকের অন্যতম ছিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। অন্যান্য বিজেপি নেতাদের মতো তিনিও দাবি করেছিলেন এইবার বাংলায় বিজেপিই সরকার গড়ছে। সেই আশা পূর্ণ তো হয়নি, তার উপর, বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটটনার পিছনে মিঠুন চক্রবর্তীর উসকানিমূলক ভাষণের ভূমিকা রয়েছে, বলে দাবি করে বর্ষিয়ান অভিনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন সকালে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম পরিচয়, তিনি অভিনেতা। বাংলা সিনেমায় তাঁর বহু হল কাঁপানো সংলাপ রয়েছে। নির্বাচনের প্রচার পর্বে তিনি সেইসব সংলাপকেই কাজে লাগিয়েছিলেন। এরকমই এক অত্যন্ত জনপ্রিয় সংলাপ, 'মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে'। এই সংলাপও তিনি মঞ্চ থেকে বলেছিলেন। এই সংলাপের প্রেক্ষিতেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল পুলিশ। এই এফআইআর বাতিল করতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন। তাঁর আবেদন বলেছিলেন, বক্তৃতায় শুধুমাত্র সিনেমার সংলাপগুলি আউরেছেন তিনি, আক্ষরিক অর্থে 'লাশ ফেলা'র কথা বলেননি। কিন্তু, আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের, অভিনেতাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রশ্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশই এদিন কার্যকর করেছে কলকাতা পুলিশ।

 

Share this article
click me!