বাইকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় শুক্রবার ভোর রাতে হায়দ্রাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী বাসে আগুন লাগে। এই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়। বহু মানুষ জখম হয়েছে। কিন্তু কেন এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা? তদন্তে নেমে মাথায় হাত তদন্তকারীদের।
25
ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের দায়!
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে রয়েছে ভয়ঙ্কর তথ্য। বলা হয়েছে বাসে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী বাসের মধ্যেই থাকা ২৩৪ স্মার্ট ফোনের একটি প্যাকেট। বাসের আগুন সেই প্যাকেটে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই পরপর মোবাইল ফোনের ব্য়াটারি ফেটে যায়। তারপরই আগ্নিকাণ্ড ভয়ঙ্কর আকার নেয়।
35
বাইকের সঙ্গে বাসের ধাক্কা
বেঙ্গালুরুগামী হায়দরাবাদের বাসটির সঙ্গে প্রথমে একটি বাইকের ধাক্কাধাক্কি হয়। বাইকে ধাক্কা মারার পরই বাসটিতে প্রথম আগুন লাগে। সেই সময়েই বাসের তেলের ট্যাঙ্কারের ঢাকনা খুলে যায়। তারপরই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনই দ্রুত পৌঁছে যায় বাসে থাকা একটি মোবাইল ফোনের প্যাকেটে। তারপরই তা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। তাই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি অধিকাংশ যাত্রী।
তদন্তকারী সূত্রের খবর বাসে যে ২৩৪টি মেবাইল ভরা একটি প্যাকেট ছিল সেগুলি হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীর। যার নাম মঙ্গনাথ। তিনি মোবাইল ফোনগুলি বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় পাঠাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসে আগুন লাগার পরই পরপর বিস্ফোরণ হতে থাকে।
55
দমকলের মত
অন্ধ্রপ্রদেশের দমকল বিভাগের ডিজি পি বেঙ্কটরমণ জানিয়েছেন, বাসটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ফলে সেই ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখার জন্য যে ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় সেগুলি আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুঘটকের কাজ করেছিল। বাসের এসিতেও বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের অ্য়ালুমিনিয়াম শিটও পুড়ে গিয়েছিল।