আবারও বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। এবার টার্গেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাও এবার সম্পূর্ণ তৈরি হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। খাইবার পাখতুনখোয়ায় নির্মীয়মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হামলা চালান দুষ্কৃতী।
আবারও বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। এবার টার্গেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাও এবার সম্পূর্ণ তৈরি হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। নির্মীয়মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হামলা চালান দুষ্কৃতী। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খোয়ায় একটি নির্মীয়মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই বোমা মেরে উড়িয়ে দিল এক দল দুষ্কৃতী। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হচ্ছে শুধুমাত্র ছাত্রীদের জন্য।
পাকিস্তানে মেয়েদের স্কুলে হামলা
ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা ডেরা ইসমাইল খানের কাছে ট্যাঙ্ক জেলার গারা বুধা গ্রামে একটি নির্মীয়মাণ বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় উড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ডন-এর মতে, অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা স্কুলের সীমানা প্রাচীর এবং বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের নিচে বিস্ফোরক লাগিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ভোরের দিকে এই বিস্ফোরণে প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলা ভবনটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে।
হামলাকারী কারা?
এই বোমা হামলার উদ্দেশ্য এবং এর পিছনে কারা রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এই হামলায় এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অভিভাবক এবং সমাজকর্মীরা মেয়েদের শিক্ষার উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁরা প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন, শুধু স্কুলটি অবিলম্বে পুনর্নির্মাণই নয়, এই অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। বাসিন্দারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে তাঁরা ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাবেন।
একজন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "এটা শুধু একটি স্কুলের উপর হামলা নয়; এটা আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের উপর হামলা।" পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের ঘটনা, বিশেষ করে ছোট মেয়েদের জন্য শিক্ষার পরিবেশ সুরক্ষিত করতে সরকারের ক্রমাগত ব্যর্থতাকেই তুলে ধরে। ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি পৃথক ঘটনায়, এই সপ্তাহের শুরুতে অপহৃত একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির চারজন কর্মীকে শুক্রবার নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। টেলিকম সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার সময় গারা বখতিয়ার এলাকা থেকে ওই কর্মীদের অপহরণ করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা সম্ভবত চলমান অভিযানের ভয়ে গারা মাস্তান গ্রামে অপহৃতদের নিঃশর্তে মুক্তি দিয়েছে। ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অজ্ঞাতপরিচয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্টে (সিটিডি) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


