শনিবার দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিনই কিনা ভারতীয় রাজনীতির লৌহপুরুষ তথা প্রবীণ বিজেপি নেতার চোখের কোণে দেখা গেল জল!
১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘরছাড়ার ইতিহাসকে নিয়ে ছবি বানিয়েছেন বিধু বিনোদ চোপড়া। ছবির নাম 'শিকারা'। এদিন দিল্লিতে তার স্পেশ্য়াল স্ক্রিনিংয়ের ব্য়বস্থা করা হয়েছিল। সেখানে মেয়েকে নিয়ে ছবিটি দেখতে এসেছিলেন লাককৃষ্ণ আডবাণী। ছবি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় রাজনীতির লৌহপুরুষ আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সামলে রাখতে পারেননি চোখের জল। স্ক্রিনিংয়ের শেষে রীতিমতো কেঁদে ফেলতে দেখা গেল আডবাণীকে। তাঁকে সান্তনা দিতে এগিয়ে এলেন পরিচালক স্বয়ং। পরিচালক নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই ছবি শেয়ার করেছেন এদিন। ছবিটি কার্যত ভাইরাল হয়ে যায়।
১৯৯০ সালে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি একদিন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তিনটে পছন্দ দেওয়া হয়, রালিভ, গালিভ ও সালিভ। অর্থাৎ হয় ইসলাম স্বীকার করো, নয়তো মরো, নতুবা কাশ্মীর ত্য়াগ করো। ওই দিনটিই সেই কালোদিন যেদিন ৪ লাখ কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্য়কা ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য় হন বলে দাবি করা হয়। সম্প্রতি বিধু বিনোদ চোপড়া ওই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়েই তৈরি করেছেন তাঁর ছবি 'শিকারা'। প্রথম দিনেই তা বক্স অফিসে ৭৫ লাখ টাকা আয় করেছে বলে খবর। আদিল খান ও সাদিয়া অভিনীত ছবিটি ইতিমধ্য়েই দেশজুড়ে প্রবল কৌতূহল তৈরি করেছে দর্শকদের মধ্য়ে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভিটেমাটি ছাড়ার ঘটনাকে প্রতিবারই ভোটের আগে ইস্য়ু করে থাকে বিজেপি। এবারও তা করেছিল। যদিও, ইতিহাসবিদরা কেউ কেউ বলেন, পণ্ডিতদের ভিটেমাটি ছেড়ে আসার ঘটনা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তবে গেরুয়া শিবির বিষয়টাকে যেভাবে সাম্প্রদায়িক রঙে রঙিন করে চায়, আদতে কিন্তু তা নয় ঘটনাটা।